Friday, 28 October 2022

PGD-GB, DU Circular Published. (100% Scholarship)

PGD-GB, DU Circular Published. (100% Scholarship)
যদি কমেন্টে মিনিমাম ১০০জন রেসপন্স করেন এই কোর্সের উপর, তাহলে একটা স্টাডি আউট লাইন দিবো এর উপর যা এর পরীক্ষার প্রিপারেশনের জন্য অনেক কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।

PGD GB, IBA DU Exam Question

PGD GB, IBA DU Exam Question.

Tuesday, 18 October 2022

ফেব্রিক টুইস্টিং বা স্পাইরিলিটি: সমস্যা ও সমাধন

ফেব্রিক টুইস্টিং বা স্পাইরিলিটি: সমস্যা ও সমাধন   
কারন :
সাধারনত কাপড় নিটিং বা উইভিং এর সময় কাপড় এর টেনশন এর যদি ভেরিয়েশন হয় তবে ডাইং এর পর কাপড় এর কিছু আক্রিতি গত পরিবর্তন হয় বা তা ডাইমেনশনাল ডিফরমেশন হয় এতে ফেব্রিক এর মাঝে স্কিউনেস দেখা যায়। কাপড় এর এই সমস্যা কে টুইস্টিং বলে !

টলেরেন্স :
এর জন্য বায়ার টলারেন্স আছে, এক্ষত্রে বায়ার, টুইস্টিং ৫% এর নিচে হলে কাপড় এপ্রুভ করে। ৫% উপরে গ্রহণ যোগ্য নয়। ফেক

কিছু তথ্য জেনে রাখুন :

১. সাধারনত এটি ফ্যাজিক্যাল টেস্ট।

২. Shrinkage এবং Spirility /Twisting একত্রে টেস্ট করা হয়।

৩. কাপড় ফিনিশিং এর সময় দুই ধাপে টেস্ট করা হয়। প্রথমে স্টেনটারিং এর পর দ্বিতীয়ত কাপড় কম্পেক্টিং এর পর টেস্টিং করা হয়। 

৪. সাধারনত স্টেন্টার এর রেজাল্ট ফেইল করলেও কম্পেক্টিং এর পর তা ওকে হয়ে যায়।

৫. সাধারনত স্লাব ফেব্রিক, এবং কম GSM. এর কাপড় গুলিতে এই সমস্যা গুলি বেশি দেখা যায়। হেভি GSM এর ফেব্রিক এর এই প্রবনতা নাই।
৬. এর জন্য দায়ী মুলত ফেব্রিক ডিপার্টমেন্ট, কারন তাদের সঠিক কাউন্ট সিলেকশন আর প্যারামিটার সঠিক না হওয়া টুইস্টিং এর মুল কারন।
৭. বায়ার গার্মেন্টস এর আফটার ওয়াস Twisting / Sparility দেখে।
৮. গার্মেন্টস কাটিং এর আগে টুইস্টিং আছে কিনা তা শিউর হয়ে তারা কাপড় কাটে কারন, কাট প্যানেল এর টুইস্টিং রেক্টিফাই করা কঠিন।
৯. আপনি যদি ডাইং এর লোক হন তবে টুইস্টিং এর সমস্যার জন্য ফেব্রিক ডিপার্টমেন্ট কে ধরতে পারেন কারন এটি মুলত ম্যাকানিকাল ফল্ট। নীটিং এর প্যারামিটার যদি ঠিক না থাকে তবে টুইস্টিং এর সমস্যা হবে। যেমন প্রতিটা GSM এর কাপড় এর জন্য আলাদা স্টেন্ডার্ড স্টিচ লেন্থ আর কাউন্ট আছে আর এটি যদি সিলেকশন করতে ভুল হয় তবে টুইস্টিং বা স্পাইরিলিটি দেখা দেবে।
১০. ইয়ার্ন কোয়ালিটি খারপ হলে এই কাপড় এ টুইস্টিং, থিক থিন হবেই।

১১. বায়ার কে স্যাম্পল সাবমিট করার সময় স্টিম আয়রন করে স্যাম্পল কে ভাজ গুলি মিলিয়ে দিন, অর্থাৎ কাপড় কে ভালো করে স্টিম আয়রন করে দিতে পারেন।

১২. মনে রাখবে কাপড় এর কন্সট্রাকশন যেন খুব লুজ বা খুব টাইট না হয়।

১৩. গার্মেন্টস কাটিং এর সময় লক্ষ রাখতে হবে যেনো কাপড় এর প্লাই এর এলাইনমেন্ট যেনো ঠিক থাকে, কারন স্লাব ফেব্রিক এর এলাইনমেন্ট গুলি ঠিক থাকে না।
ভাল লাগলে লাইক & শেয়ার করুন।

Monday, 17 October 2022

কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ একটা ফেক্টর সব ফেক্টরিতে এমন পরিবেশ হয়না ।

কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ একটা ফেক্টর সব ফেক্টরিতে এমন পরিবেশ হয়না । আপনি প্রডাকশনে বসার জন্য মাঝে মাঝে টুল ও খুজে পাবেন না । ম্যানেজমেন্ট এর ধারনা চেয়ার দুলে রুম সুন্দর হলে প্রডাকশন এর লোকজন বুঝি বসেই থাকে । 

প্রডাকশন এর উপর ডিপেন্ড করে পুরো ফেক্টরি । ডাইং নীটিং এর বাসার জায়গা গুলি অনেক ফেক্টরির দেখলে বমি এসে যাবে । 

কমার্শিয়াল একাউন্স গুলি সুন্দর করা উচিৎ বায়ার, সাপ্লায়াররা সেখানে আসেন। তাদের জন্য হলেও কর্ম পরিবেশ সুন্দর করা উচিৎ । 

অনেক ফেক্টরি মালিক এসব দিকে নজর দেন না মিড ম্যানেজমেন্ট এর বুদ্ধিতে টাকা বাচানোর খেলায় মেতে ওঠেন। অথচ ভাবেন না যে লোক চলে যাবে কিন্ত তার ফেক্টরি তার আসবাব তারি থেকে যাবে । 

নন গ্রীন প্রজেক্ট এর ভেতর কোন ফেক্টরি আপনার ভালো বলে মনে হয়েছে ?

Saturday, 15 October 2022

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কম দাম পায়

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কম দাম পায়

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় ৩২ থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কম দাম পায় বাংলাদেশ। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক ক্রেতারা ধারাবাহিকভাবে বৈশ্বিক গড় মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক পণ্য কিনছেন। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছ থেকে কেনার সময় একই ক্রেতা বেশি দাম দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের (আইটিসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় তৈরি পোশাক উৎপাদনকারীরা অন্য দেশের সরবরাহকারীদের তুলনায় ক্রেতাদের কাছ থেকে ৩২ থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কম দাম পান।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি তৈরি পোশাক উৎপাদনকারীদের একটি দীর্ঘদিনের দাবির সত্যতা প্রমাণ হলো। তারা প্রায়ই আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকে আশানরূপ দাম না পাওয়ার অভিযোগ করেন এবং ভ্যালু চেইনে আরও ওপরের দিকে যাওয়ার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।

'দ্য গার্মেন্ট কস্টিং গাইড ফর স্মল ফার্মস ইন ভ্যালু চেইনস' নামে আগস্ট মাসে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদনে আইটিসি জানায়, একটি বিষয় উঠে আসছে সেটি হলো খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডদের উচিত পোশাক সরবরাহকারীদের ন্যায়সঙ্গত ফ্রি-অন-বোর্ড (এফওবি) মূল্য পরিশোধ করা, কারণ তারা প্রায়ই উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে পোশাক কেনেন।

প্রতিবেদন মতে, 'প্রাপ্ত তথ্য থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, অনেক কারখানা কম এফওবি মূল্য পাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।'

'উপসংহার হিসেবে বলা যায় এখানে সমস্যা ক্রেতার এবং এ কারণে তাদের আরও বেশি এফওবি মূল্য পরিশোধে বাধ্য করা উচিত।'

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ। সারা বিশ্বে এই খাতে শুধু চীন বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে।

গত অর্থবছরে এই খাত থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

আইটিসি প্রতিবেদনে আরও জানায়, 'এখানে সমস্যা এটি নয় যে ক্রেতারা কারখানাগুলোকে কম দাম দিচ্ছে বরং ক্রেতারা বাকিদের আরও বেশি দিচ্ছে।'

আইটিসির এই সমীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল কার্যালয় থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে।

সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির সময় সংস্থাটি ২০২০ সালে বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। তারা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের এফওবি মূল্যের সঙ্গে প্রতিটি পণ্যে শীর্ষ ১০ প্রতিদ্বন্দ্বীর পাওয়া মূল্যের তুলনা করেছে।

প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও কাম্বোডিয়া ধারাবাহিকভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের গড় মূল্যের চেয়ে কম মূল্য পেয়েছে আর ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও মেক্সিকো গড়ের চেয়ে বেশি মূল্য পেয়েছে। 

উদাহরণ হিসেবে, বাংলাদেশে তৈরি পুরুষদের জন্য তুলার ওভেন ট্রাউজার ২০২০ সালে ৭ দশমিক ০১ ডলার দামে বিক্রি হয়েছে, যেটি বৈশ্বিক গড় ৭ দশমিক ৭২ ডলারের চেয়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশ কম।

একই পণ্যের জন্য ভিয়েতনাম ১০ দশমিক ৭৬ ডলার পেয়েছে। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের রপ্তানিকারকরা যথাক্রমে ৮ ও ৮ দশমিক ৪১ ডলার দাম পেয়েছে।

একইভাবে, বাংলাদেশে উৎপাদিত পুরুষদের তুলার তৈরি জিন্স প্রতি পিস ৭ দশমিক ৮১ ডলার দামে বিক্রি হয়েছে। এই মূল্য বৈশ্বিক গড় ৮ দশমিক ৪১ ডলারের চেয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ কম। একইরকম পণ্য বিক্রি করে ভিয়েতনাম ১১ দশমিক ৫৫ ডলার আয় করেছে।

বাংলাদেশের ২টি মাত্র পণ্য বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে কিছুটা বেশি মূল্য পেয়েছে।

সমীক্ষা প্রতিবেদন মতে, তৈরি পোশাক খাত একটি সরল উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে জটিল সেবা খাতে রূপান্তরিত হয়েছে।

কাপড় কাটা ও সেলাই প্রক্রিয়া এখন সবচেয়ে সরল ও কম সম্মানীর কাজ হিসেবে বিবেচিত।

হংকং, সিঙ্গাপুর ও সিওলের মতো প্রথম প্রজন্মের পোশাক উৎপাদনকারী এশীয় শহরগুলো সরল পণ্য উৎপাদনকারী থেকে নিজেদেরকে বহুজাতিক সংস্থায় রূপান্তরিত করেছে এবং তারা এখন সারা বিশ্বজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৌশল, অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে।

তারপরও উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি তৈরি পোশাক নির্মাতারা এই খাতের রূপান্তরের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন প্রাথমিক পর্যায়ের কাটা ও সেলাইভিত্তিক কার্যক্রমেও নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে। অল্প কিছু সেবা দিতে পারে এবং নিত্যপণ্যের মতো গুণসম্পন্ন পোশাক সরবরাহ করতে পারে। 

সমীক্ষায় আইটিসি মন্তব্য করে, 'তারা হয়তো জানে না কীভাবে তাদের সেবার মান উন্নয়ন করা যায় এবং ক্রেতারা সে ধরনের উন্নত পণ্য কেনার জন্য মূল্য পরিশোধ করতে প্রস্তুত কী না, সে বিষয়েও তারা সন্দিহান।'

আইটিসি পোশাক নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তাদের সেবার বিস্তার ঘটিয়ে ব্যবসাক্ষেত্রে টিকে থাকার চেষ্টা চালাতে।

ঢাকার একটি শীর্ষ ইউরোপীয় খুচরা বিক্রেতা জানায়, 'এটা সত্য, যে বাংলাদেশে উৎপাদিত তৈরি পোশাক পণ্যের দাম অন্যান্য দেশ ও গড় বৈশ্বিক মূল্যের তুলনায় কিছুটা কম, কারণ স্থানীয় উৎপাদনকারীরা শুধুমাত্র প্রাথমিক পর্যায়ের তৈরি পোশাক উৎপাদনে শক্তিশালী।'

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি থেকে কম দেওয়ার পেছনে আংশিক কারণ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ের পণ্যের পরিমাণ বেশি থাকাকে দায়ী করেন।

এই উদ্যোক্তা দুর্বল অবকাঠামো ও রপ্তানি চালান সরবরাহ করার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতাকেও কারণ হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ পণ্যের মান, বৈচিত্র্য ও নীতিমালা মেনে চলার ক্ষেত্রে সম্প্রতি বছরগুলোতে অনেক উন্নতি করেছে'।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

চাকুরী লাইফে আপনি দুটো কাজ করবেন না

চাকুরী লাইফে আপনি দুটো কাজ করবেন না,

১. রিজিকের উপর আস্থা হারাবেন না। আল্লাহ পাক যতদিন আপনার রিজিক যেখানে রেখেছেন সেখান থেকে আসবেই। যদি না আপনি অসৎ পথ অবলম্বন করেন। সেক্ষেত্রে আপনার রিজিক সমানই থাকবে, তবে অসৎ পথের অংশটা কেটে গিয়ে সৎ পথে বাকিটা আয় হবে। এবং রিজিকে বরকত থাকবেনা। রিজিকে আস্থা রাখুন, এবং হালাল পথে আপনার জন্য বাড়তি রিজিক আল্লাহর কাছে চান। আল্লাহ পাক ব্যবস্থা করবেন।

২. কোম্পানীতে কারো রিজিক কখনও নষ্ট করবেন না। কারো ক্ষতি করবেন না। কোন কলিগকে হিংসা করবেন না। কোন কলিগকে ঘৃণা করবেন না। কারো নামে অকারণে উর্ধ্বতনের কাছে নালিশ করবেন না। আপনার সম্মান আল্লাহ পাক এমনিতেই বাড়িয়ে দিবেন। এমনকি যে কলিগ আপনার নামে নালিশ করে তার বিষয়েও নীরব থাকুন।

ফলাফল আপনি নিজেই অবলোকন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

Saturday, 17 September 2022

How to Calculate Cutting SAM?

How to Calculate Cutting SAM?

Cutting SAM can be determined in the same way as you calculate stitching SAM of a garment. In cutting SAM calculation, consider cutting room sub-processes such as spreading, marking, cutting, fusing, re-laying, re-cutting, sorting, numbering and bundling as operations. Whether you like to determine only cutting SAM or all other processes also will depend on you. I have explained procedures for finding SAM for all cutting processes.

The important thing, in the cutting process determining SAM of a single piece, has no meaning when cutter cuts parts of multiple garments at a time. Whether cutter cuts 10 plies or 100 plies using straight knife machine cutting time will mostly remain same. Primary variables in determining Cutting SAM are layer number in a lay, number of markers in a lay.

To determine standard minutes for cutting jobs I suggest you to go for time study of cutting operations, instead of using MTM2 database (synthetic data).

Determine SMV of each cutting tasks using the method explained in how to calculate SAM of a garment


1. Do cycle time of Jobs (time study for 5 – 10 cycles) 


2. Do performance rating ( Assess how fast or slow the operator doing the job in 1-100 scale) 


3. Calculate Basic time (Basic time = cycle time X performance rating) 


4. Add allowances (machine allowance + personal fatigue) 


5. Calculate standard minutes (SAM = Basic time + Allowance percentages)

Spreading SAM
Conduct time study and measure cycle time for fabric spreading. Convert cycle time into standard time. Spreading time will vary depending on layer length (and/or number of markers) and type of fabric. To be specific record spreading SAM based on lay length and fabric type. Also record number layer-man involved in layering. Once you have standard minutes for spreading of a layer, you can easily calculate total time required for spreading a lay by multiplying number of layers in a lay. Refer to the following table to record spreading SAM.

Table 1: Spreading SAM record sheet

Sq. no. Style No. Fabric
type Lay length
 (meters) Marker
size No. of layer man SAM/layer
#1      
#2      

Marker making SAM
Maker making required few minutes and compared to other cutting processes this time is negligible. In case you need to determine marker making SAM and want to add in total cutting SAM, I am showing you how to do it. If CAD marker is used then do cycle time of lying of the papermaker on the lay and fixing the maker with gum tape.

For manual marking determine standard time through time study. In manual marker, making time varies depending on garment components, garment size and a number of markers. Record the number of persons involved in marker making. Refer to the following table to record marker making SAM values.


Table 2: Marker making SAM record sheet

Sq. no. Style No. Garment size Marker size Total components / size SAM/lay No. of marker man
#1      
#2      


Cutting SAM
Conduct time study for cutting operation. Total cutting time of a lay will depend on garment components, linear length to be cut for garment patterns, marker size, and type of fabric. Cutting time also depends on cutting equipment. Record time study data in the following table. Study cutting time for all sizes in a lay and find average SAM. Cover all sizes in time study. Create a database of cutting SAM with the different combination of cutting for future use.

Table 2: Cutting SAM record sheet

Sq. no. Style No. Fabric
type Marker size Total components / size Lay length (meters) SAM/lay SAM /
Garment
#1       
#2       




Fusing SAM
Set temperature and pressure of the fusing machine for a certain speed of fusing belt. You can do here reverse calculation. Instead of time study record operator speed for placing cut components (to be fused) in a minute. Once you get production per minute you can SAM per garment (based on number of fused components) by using formula 1/no. of parts fused per minutes.

Re-cutting SAM
Re-cutting is also done by other equipment such as hand scissors or band knife machine than straight knife cutting machine. Follow same procedures of determining cutting SAM for re-cutting SAM. For re-cutting process, SAM can be presented per lay or per garment. Also, consider whether all components need to re-cut or only a few components.

For the other cutting room processes like, Sorting, ticketing, and bundling determine SAM as per unit as mentioned in the following table.


Table 4: Units for presenting SAM of cutting processes

 Operations Units for cutting operation SAM
1 Spreading Calculate SAM per layer.
2 Marker making Manual marking: Calculate SAM for each marker.
CAD marker: Calculate SAM per lay (Cut)
3 Cutting Calculate SAM per marker. 
4 Fusing SAM per garment
5 Re-cutting Re-cutting SAM can be calculated based on the number of layers cutter cut.
6 Sorting Calculate SAM per marker
7 Numbering/ ticketing Numbering SAM can be calculated per garment. For that first, find SAM per component and later multiply how many components are numbered
8 Bundling Calculate Bundling SAM per marker


In the above tables, you collect SAM of different processes in different units. All these standard minutes will help you to determine cutting room capacity or you can calculate how much capacity (standard minutes) you will be needed for an order. 

Initially, you need to collect standard time for all cuts to create a database. Once you have created a database with the different combination of lay length, marker size, garment sizes you can use SAM from your database for future styles.

What is Man to Machine Ratio in the Garment Industry?

What is Man to Machine Ratio in the Garment Industry?
The man to machine ratio is an important KPI in the manufacturing sector. The same is applied in apparel manufacturing. In this post, I will explain the term man to machine ratio (MMR), its importance, and the method of calculating man to machine ratio.


What is the man to machine ratio?
Man to machine ratio is defined as the total workforce in a factory to the total number of operational sewing machines.

Man to machine ratio widely varies depending on the organization structure. If a factory has only departments associated with garment production (i.e., cutting, sewing, maintenance, quality and IE) then this ratio will be low. On the other hand, if a factory includes the department of design & development, sampling to finishing to shipment and documentation then this ratio will be high.

How to calculate Man to machine ratio?
To measure Man Machine Ratio (MMR) of a factory -

• First, find how many employees are there (include all manpower).
• Second, Count how many sewing machines are there. Consider only operational machines that are being used in a current month (data analysis month)
For example,
1. If total manpower is 1000 and the total available machine is 500. Then Man:Machine = 1000:500 = 2:1
2. If total manpower is 800 and the total available machine is 500. Then Man:Machine = 800:500 = 1.6:1 

How to calculate department-wise MMR ratio? 
Instead of whole factory manpower, one can measure MMR only for the sewing department. In this case, include only those employees who work under the sewing section. Like, operators, helpers, pressmen, feeders, line checkers, table checkers, line supervisors, work-study boys, maintenance personnel, production writer, floor in-charge etc. 

Assume that the total manpower on the sewing floor is 630. So man to machine ratio for sewing floor will be = 630:500 = 1.26:1 

For further analysis, factories represent MMR department-wise. 
To show you the calculation, I have taken hypothetical data for department-wise manpower. The factory has a total machine of 500 and 1000 manpower. 

Total manpower (1000) = Sewing (D1=630)+Cutting (D2=30) + Pre-production (D3=80)+Finishing and packing (D5=100)+Quality (D6=30) +Administration and marketing (D7=100)+ store (D8=20) + others (D10=10) 

Factory MMR =2:1 

Department wise division of manpower ratio out of total ratio against machines is calculated as

Sum of (D1:D2:D3:D4....:D10) = 2 
D1=2*630/1000=1.26 
D2=2*30/1000=0.06 
... 
D5 =2*100/1000=0.2 
D10=2*10/1000=0.02


Saturday, 27 August 2022

Industrial Engineering exam question answers

Q: If 30 machines can produce 2400 pcs product in 10 working hour. What is the productivity per hour of one machine?
Ans: 8pcs 
30mc 2400 pcs 10hr
30 mc 240 pcs 1hr
1mc 8pcs 1hr

Q: Tickets numbered 1 to 20 are mixed up and then a ticket is drawn at random. What is the probability that the ticket drawn bears a number which is multiply of 4?
Ans: 1/4

Total out come= 1,2,3,(4),5,6,7,(8),9,10, 11,(12),13,14,15,(16),17,18,19,(20)
Favourable out come 
= multiplying by 4
=5

5/20
1/4

Q: Who is the father of industrial engineering?
Ans: Frederick Taylor

A value stream shows all activities from order to ______
Ans: Delivery

Q: The price of raw material has gone up by 25%. The labor cost has also increased from 30% of the cost of raw material to 40% of the cost of raw material. By how much percentage should there be the reduction in net cost so as to keep the cost same?

Ans : 25%
Raw materials up 25%=125
Increase raw material =125+40%=175
Increase from 30%=130

Variation 175-130=45

(45*100)/175=25.71
25%


Q: A Z B Y D W G T??
Which two letters come next? 
Ans: K P

There are two alternate sequence. Starting at A, ABcDefGhijK; starting at Z, ZYxWvuTsrqP


Q:
SUNDAY
MONDAY
TUESDAY
WEDNESDAY
THURSDAY
FRIDAY
SATURDAY
What day comes three days after the day which comes two days after the day which comes immediately after the day which comes two days after Monday?

Ans: Tuesday

Q:What is the synonym for “FABRICATE”?
Ans: pain 




Sunday, 31 July 2022

"আমরা আমাদের বিজনেস স্ট্র্যাটিজিতে কোন ভুল করিনি তারপরও আমরা সব হারিয়েছি" বলে নোকিয়ার সি.ই.ও তার বক্তব্য শেষ করেন।

"আমরা আমাদের বিজনেস স্ট্র্যাটিজিতে কোন ভুল করিনি তারপরও আমরা সব হারিয়েছি" বলে নোকিয়ার সি.ই.ও তার বক্তব্য শেষ করেন।  
মাইক্রোসফট কর্তৃক আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে নোকিয়ার সি.ই.ও উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এবং বকৃতার এক পর্যায়ে নোকিয়া সকল ম্যানেজমেন্ট স্টাফ নীরব কান্নায় ভেঙে পড়েন। 
নোকিয়া ব্র্যান্ডকে নতুন করে চিনিয়ে দেওয়ার কোন দরকার নেই। এক সময় টেলিকমিউনিকেশনের রাজত্বে একক আধিপত্য বিস্তারকারী নোকিয়া কোম্পানি এখন বিলুপ্তির পথে। তাদের তৈরি বাটন সেট মিলিয়ন মিলিয়ন পিস বিক্রি হয়েছে আজ থেকে ৮-১০ বছর আগেও। তাহলে কি এমন হোল যে, এতবড় জায়ান্ট সেলফোন প্রডিউসিং ব্র্যান্ড হঠাৎ করে মুখ থুবড়ে পড়ল? 
মুল সমস্যা ছিল প্রযুক্তিকে এডোপ্ট করা। আপনি ভাবছেন আপনার প্রোডাক্ট এনালগ হলেও গুনগত মান অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য থেকে ভাল তাই আপনি একাই মার্কেটে রাজ কর্মতে পারবেন। এটা ভুল। মানুষ আধুনিকতা পছন্দ করে। মানুষ এখন স্পিড পছন্দ করে। চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সিকিউর হলেও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে মানুষ এখন আর চিঠি আদান প্রদান করেনা। ইমেইলেই কাজ করে। কারণ এটা ফাস্ট। নোকিয়া ঠিক এই ভুলটাই করেছে। তারা চিঠির যুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি ঠিক সময়। অর্থাৎ যেখানে অন্যান্য ব্র্যান্ড বিশেষ করে আইফোন , স্যামসাং অলরেডি এনড্রোয়েড ফোন বাজারে নিয়ে এসেছে সেখানে নোকিয়া মাইক্রোসফটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তার লুমিয়া সেটকে আইওএস এনড্রোয়েড করার পরিবর্তে মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেমেই রেখে দিয়েছি।     

পরিশেষে আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কিছু এড করতে চাই। আমরাও যদি নতুন নতুন প্রযুক্তি এপ্লাই করার পরিবর্তে পুরাতন প্র্যাকটিস এবং ধ্যান ধারনা নিয়ে আমাদের ফ্যাক্টরি রান করাতে চাই আমাদেরকেও এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে হবে। এখন বিজনেসের স্ট্র্যাটিজি আর প্রফিট বেজ না। এখন স্ট্র্যাটিজি কস্ট বেজ। অর্থাৎ আপনি প্রডিউসিং কস্ট যত কম করবেন তত বেশী প্রফিট পাবেন। কস্টের উপর ভিত্তি করে আপনার প্রফিট মার্জিন দাঁড় করাতে হবে।  
 প্রতিনিয়ত নিজেকে ডেভেলপ করতে হবে নতুন নতুন জিনিস শেখার মাধ্যমে। বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপ করুন। সফট স্কিল, হার্ড স্কিল যেকোন স্কিল অর্জন করতে থাকুন এবং এটা কন্টিনিউয়াশলি। থেমে যাওয়া যাবেনা। লীনের কোর্স করুন, সিগমার কোর্স করুন, জিএসডি করুন, এক্সেলের কোর্স করুন । এক কথায় শিখতেই থাকুন।  

লেখক স্বত্ত্বঃ- Mamun Rezwan

Sunday, 24 July 2022

নতুন জিন্স কেনা পরিবেশের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর

🔰ব্রিটিশ এক সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছে যে, নতুন জিন্স কেনা পরিবেশের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর যেহেতু CO2 এর ভালো একটা পরিমান তৈরী হচ্ছে জিন্সের প্রডাকসনের মধ্যে যা সম্পূর্ন পৃথিবীকে ২.৩৭২ বার ঘুরার সমান অথবা একটি পেট্রোল গাড়ি ২১ বিলিয়ন মাইলেরও বেশী ঘুরে আসার সমান।

🔰ব্রিটিশ নন প্রফিট অর্জানাইজেশন “অক্সফাম” জিন্স সম্পর্কে কার্বন ফুট প্রিন্ট প্রকাশ করে এবং তাদের আসন্ন সেকেন্ড হ্যান্ড সেপ্টেম্বর ক্যাম্পেইন এর জন্যে সবাইকে পরিবেশ বাচাতে সেকেন্ড হ্যান্ড জিন্স কিনতে উৎসাহিত করছে।
সোর্স- টেক্সটাইল টু ডে

সুইমওয়ার রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করে আছে বাংলাদেশ।

🔰 OTEXA এর রিপোর্ট অনুযায়ী জানুয়ারি - মে ২০২২ প্রিয়ডে আমেরিকার বাজারে সুইমওয়ার এর ডিমান্ড বেড়েছে ৩৬.৩৬%। 

🔰 দেশটিতে সুইমওয়ার রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করে আছে বাংলাদেশ। 

১. চায়না। (২৮৫.৭৪ মিলিয়ন $)
২. ভিয়েতনাম (২৭০.৯৫ মিলিয়ন $)
৩. ইন্দোনেশিয়া (৯৭.৫০ মিলিয়ন $)
৪. বাংলাদেশ (৫৯.২৪ মিলিয়ন $)

সোর্স - এপারেল রিসোর্স

বায়িং হাউজের কর্মকর্তা থেকে শিল্প গ্রুপের মালিক। আরডিএম গ্রুপের বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

বায়িং হাউজের কর্মকর্তা থেকে শিল্প গ্রুপের মালিক 

আরডিএম গ্রুপের বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

১৯৯৬ সালে স্নাতক পাসের পরদিনই একটি বায়িং হাউজে চাকরি নেন রাকিবুল আলম চৌধুরী। 

প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন থেকে রপ্তানি প্রক্রিয়ার সব ক্ষেত্রেই কাজ শিখেছেন হাতে কলমে। চাকরির পাশাপাশি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন সমানতালে।

চাকরির বেতনের জমানো ৯ লাখ টাকা এবং পরিবারের ঋণ ১৮ লাখ সহ মোট ২৭ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ২০০২ সালের আগস্টে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় গার্মেন্টস কারখানা দেন। 

৮ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফিটের এইচকেসি অ্যাপারেলস নামের ওই কারখানায় ৩৬টি মেশিন ও ৭৮ জন কর্মী নিয়ে রাকিবুল আলম চৌধুরীর গার্মেন্ট শিল্পে পথচলা শুরু হয়। 

সেই থেকে গত ২০ বছরে একে একে গড়ে তুলেছেন শতভাগ রপ্তানিমুখী ৬ টি কারখানা। প্রায় ৬৩০০ জন কর্মী কাজ করছে আরডিএম গ্রুপের এসব কারখানায়। কারখানার উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। 

গার্মেন্টস ব্যবসার পাশাপাশি আইটি এবং কৃষি খাতে ব্যবসা রয়েছে রাকিবুলের। 

আরডিএম গ্রুপের বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

কঠোর পরিশ্রম এবং এই শিল্পে একাগ্রতার কারণে এতদূর আসতে পেরেছেন বলে মনে করেন রাকিবুল। একই সাথে 

মনে করেন, কারখানায় নিয়োজিত প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারীর আন্তরিকতা তাকে সফলতা এনে দিয়েছে। 

"তাই আমি প্রতিটি কর্মীকে আমার পরিবারের সদস্য মনে করি", বলেন তিনি। 

২০০২ সালে প্রথম কারখানা করার পর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। একে একে বাড়তে থাকে রাকিবুলের কারখানা। 

 ২০০৭ সালে আরডিএম এপারেলস নামে আরেকটি কারখানা করেন রাকিবুল। এখানে ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ৩৯ হাজার স্কয়ার ফিটের কারখানায় ১২০ টি মেশিনে ৩৫০ জন কর্মী কাজ শুরু করে।

এরপর ২০০৯ সালে আতুরার ডিপো এলাকায় কম্বাইন্ড অ্যাপারেলস নামে ৪২ হাজার বর্গফুটের একটি পুরাতন কারখানা টেকওভার করেন।  

এর তিন বছর পর ২০১২ সালে সামার্ট ফ্যাশন নামে ২৭ হাজার বর্গফুটের আরেকটি কারখানা করেন। ১৮০টি মেশিন ও ৪০০ কর্মী নিয়ে এ কারখানার যাত্রা শুরু হয়। 

এরপর ২০১৮ সালে ইউনি গার্মেন্টস নামে আরেকটি কারখানা টেকওভার করেন রাকিবুল। ১.৬ একর নিজস্ব জায়গার এই কারখানায় ১১০০ মেশিনে ২৪০০ কর্মী কাজ করে।

বর্তমানে আরডিএম গ্রুপের ৬ টি কারখানায় নিটওয়্যার জাতীয় আউটার ওয়্যার, লাইট ওভেন পণ্য উৎপাদিত হয় যা আমেরিকা ও ইউরোপে রপ্তানি হয়। এর মধ্যে আমেরিকায় ৭০% এবং ৩০% ইউরোপে। 

মাঝখানে কিছুদিন মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হয়েছিলো কিন্তু করোনার কারণে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

এই শিল্প গ্রুপটি মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে গার্মেন্টস পল্লীতে ৬ একর জমি বরাদ্দ নিয়েছে। যেখানে একটি টেক্সটাইল গড়ে তোলা হবে। এখানে বিনিয়োগ হবে ২০০ কোটি টাকা।

রাকিবুলের কৃষি খামারে বর্তমানে ১৩২ টি গরু রয়েছে। এই খাতে বিনিয়োগ ৬ কোটি টাকা। 

এছাড়া আইটি খাতে তিনি ডাটা এক্সচেঞ্জ নামে একটি কোম্পানি খুলেছেন। 

আরডিএম গ্রুপের বর্তমানে ৫ টি বন্ড লাইসেন্স রয়েছে। আরো একটি লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চ্যালেঞ্জ কী? 

এতটুকু পথ পাড়ি দিতে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হতে হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ'র এই সহ সভাপতি বলেন, চট্টগ্রামে আমরা সবচেয়ে বেশি সমস্যা মোকাবেলা করছি মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টে দক্ষ জনবল নিয়ে। গ্রিন ফ্যাক্টরি এবং কমপ্লাইন ফ্যাক্টরি করার জন্য কমপ্লাইন্সের লোকবলের অভাব। এছাড়া মার্চেন্ডাইজিংয়ে গত দুই বছর ধরে দক্ষ জনবল গড়ে উঠলেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার পদে এখনো সংকট রয়ে গেছে।

রাজধানী ঢাকা সহ আশপাশের জেলাগুলোতে যেভাবে সহজেই ব্যাংক ঋণ পাওয়া যায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা সেভাবে পায়না। 

"চট্টগ্রামে রিজিওনাল ম্যানেজার ছাড়া ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বসেনা।চট্টগ্রামে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা নতুন উদ্যোক্তাদের বড় অংকের ঋণের কোন ফাইল ঢাকায় পাঠানোর সাহস করেনা। আমি নিজেই একটি গার্মেন্টস টেইকওভার করার সময় এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছি।"

এ কারণে চট্টগ্রাম শহরে ভালো কোন উদ্যোক্তা উঠে আসছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

তিনি আরো বলেন, গত আড়াই বছর ধরে চট্টগ্রোমের কোন কারখানা গ্যাস সংযোগ পায়নি। অথচ অন্যান্য খাতগুলো পাচ্ছে। এক সময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাও ২০-৩০ লাখ টাকা দিয়ে গার্মেন্টস কারখানা করতে পারতো। কিন্তু এখন ৩০ কোটি টাকা দিয়েও গার্মেন্টস কারখানা করা কঠিন।

চট্টগ্রামে পোষাক খাতের পিছিয়ে পড়ার আরেকটি বড় কারণ জমির অধিক মূল্য । বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বন্দর এলাকা হওয়ার কারণে দেশের অন্য জেলার শহরের তুলনায় চট্টগ্রাম শহরের জমির দামে বিশাল ব্যবধান। ঢাকায় শিল্প কারখানা যেভাবে আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠছে চট্টগ্রামে এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি।

তৈরির পোশাকের উজ্জল ভবিষ্যৎ 

পোষাক খাতের সম্ভবনা নিয়ে রাকিবুল বলেন, আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের পোষাক খাতে প্রচুর পরিমানে অর্ডার আসবে। 

"সরকারের কাছে একটিই অনুরোধ, যদি লজিস্টিক সাপোর্ট পাই তাহলে চীন থেকে যেসব ব্যবসা বেরিয়ে আসছে সেগুলো আমরা নিজেদের দেশে নিয়ে আসতে পারবো। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে মূখ্য ভুমিকা পালন করতে হবে।"

দেশে এখনো ৯০ শতাংশ ফ্রেব্রিক চীন থেকে আমদানি করতে হয়। বিকল্প মার্কেট এখনো তৈরি হয়নি।

"২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে নিজেরা সক্ষমতা অর্জন করতে পারি তাহলে চীনের মুখাপেক্ষি হতে হবে না", বলেন তিনি।

Saturday, 23 July 2022

আমেরিকান ফ্যাশন শিল্প: আগামী ২ বছরে চীন, ভিয়েতনামের চেয়েও বেশি অর্ডার পাবে বাংলাদেশ

আমেরিকান ফ্যাশন শিল্প: আগামী ২ বছরে চীন, ভিয়েতনামের চেয়েও বেশি অর্ডার পাবে বাংলাদেশ

মার্কিন ফ্যাশন কোম্পানিগুলো যেসব দেশ বা অঞ্চল থেকে আগামী দুই বছরে তাদের সোর্সিং ভ্যালু বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সেসব দেশের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ভারত, এরপর সিএএফটিএ-ডিআর অঞ্চল। এক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ।

ইউএসএফআইএ ২০২২ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বেঞ্চমার্কিং স্টাডি অনুসারে, অর্ধেকেরও বেশি মার্কিন পোশাক নির্বাহী আগামী দুই বছরে চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া এবং অন্যান্য প্রতিযোগীদের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে সোর্সিং বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসএফআইএ) এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ৫৫ শতাংশ ইউএস অ্যাপারেল এক্সিকিউটিভ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সোর্সিং বাড়ানোতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এরমধ্যে প্রায় ৩ শতাংশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সোর্সিং বাড়ানোর আশা করেন।

মার্কিন ফ্যাশন কোম্পানিগুলো যেসব দেশ বা অঞ্চল থেকে আগামী দুই বছরে তাদের সোর্সিং ভ্যালু বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সেসব দেশের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ভারত, এরপর সিএএফটিএ-ডিআর অঞ্চল। এক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ।

সিএএফটিএ-ডিআর বা ডোমিনিকান রিপাবলিক-সেন্ট্রাল আমেরিকা এফটিএ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ছোট উন্নয়নশীল অর্থনীতির গ্রুপ - কোস্টারিকা, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং ডোমিনিকান রিপাবলিকের মধ্যে প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।

এই তালিকায় বাংলাদেশের পরই রয়েছে মেক্সিকো। মার্কিন ক্রেতাদের সোর্সিং বাড়ানোর পরিকল্পনায় পঞ্চম অবস্থানে যৌথভাবে আছে ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনাম। 

প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ফজলুল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এই গবেষণার প্রতিবেদনটি যৌক্তিক।

তিনি বলেন, মার্কিন ক্রেতারা নিশ্চিত যে বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে মৌলিক পণ্য ছাড়াও অন্যান্য গার্মেন্টজাতীয় পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। বর্তমানে তারা বাংলাদেশ থেকে নিটওয়্যার পণ্যের জন্য প্রচুর অর্ডার দিচ্ছে। ফলে গত কয়েক মাসে এই বাজারে বাংলাদেশের আরএমজি পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫০ শতাংশের বেশি।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু ভারতের নিজস্ব কাঁচামাল রয়েছে, তাই তারা তুলনামূলক কম দামে কাপড় রপ্তানি করতে সক্ষম। এ কারণে তারা ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।

৩০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা, আমদানিকারক এবং পাইকারি বিক্রেতাদের উপর চালানো সমীক্ষাই হলো ইউএসএফআইএ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বেঞ্চমার্কিং স্টাডি। এরমধ্যে দেশটির কয়েকটি বৃহত্তম ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতারাও রয়েছে।

সমীক্ষায় ৮৫ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা চীন থেকে সুতি পোশাক আমদানি কমানোর পরিকল্পনা করছেন। এদিকে ৪৫ শতাংশ বলছেন, তারা নন-কটন পোশাক আমদানি আরও কমিয়ে দেবেন।

মার্কিন ফ্যাশন কোম্পানিগুলোর জন্য শীর্ষস্থানীয় সোর্সিং বেস এশিয়া।

২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি পোশাক সোর্সিং গন্তব্যের তালিকায় থাকা শীর্ষ দশের বেশিরভাগই এশিয়া ভিত্তিক। এরমধ্যে প্রথমেই রয়েছে চীন (৯১%); এরপর ভিয়েতনাম (৮৮%), বাংলাদেশ (৮৪%) এবং ভারত (৭২%)। 

'চীনের এক্সপোজার' কমানো মার্কিন ফ্যাশন কোম্পানিগুলোর সোর্সিং বৈচিত্র্যকরণ কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এক-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা এই বছর চীন থেকে ১০ শতাংশেরও কম পোশাক পণ্যের সোর্সিং এর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

এছাড়াও, ৫০ শতাংশ উত্তরদাতা ২০২২ সালে চীনের চেয়ে ভিয়েতনাম থেকে বেশি উৎসের পরিকল্পনা করছে।

ফ্যাশন ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতারা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত হওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রায় সব উত্তরদাতা বলেন, শিপিং বিলম্ব এবং সাপ্লাই চেইন ব্যাঘাত ২০২২ সালে তাদের শীর্ষ ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি।

৯৫ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতার মতে, উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএফএলপিএ) বাস্তবায়ন তাদের কোম্পানির সোর্সিংকে প্রভাবিত করবে।

বেশিরভাগ উত্তরদাতার (৯২ শতাংশের বেশি) চীন ছাড়া এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে পোশাকের উৎস কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। 

প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা ইউএফএলপিএ এর প্রতিক্রিয়ায় 'এশিয়ার বাইরে নতুন সোর্সিং গন্তব্য খুঁজবেন' বলে জানান।

ইউএসএফআইএ 'নেতৃস্থানীয়' মার্কিন ফ্যাশন কোম্পানিগুলোর ৩৪ জন নির্বাহীর একটি সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে তাদের নতুন প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এরমধ্যে ৮১ শতাংশ কোম্পানিতে এক হাজারেরও বেশি কর্মচারী রয়েছে। 

সমীক্ষার অংশগ্রহণকারী প্রায় ৭০ শতাংশ খুচরা বিক্রেতা, ৬৭ শতাংশ আমদানিকারক এবং পাইকারী বিক্রেতা; বাকি ৪০ শতাংশ ব্র্যান্ড। 

এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে এ সমীক্ষা চালায় ইউএসএফআইএ।

Thursday, 28 April 2022

5S Basic learning Consider Readymade Garment (RMG) Environment. (Sewing section)

5S Basic learning Consider Readymade Garment (RMG) Environment. (Sewing section) 

⚠️ Declaration of awareness :
👉 Be positive
👉 Need proper training
👉 Be positive all departments & management 
👍 Respect all peoples. 

N. B: Let's Try to help this trade as well as increase wealth of our country.
 🇧🇩
hashtag#environment 
hashtag#5S hashtag#learning




https://www.linkedin.com/feed/update/urn:li:ugcPost:6925392519098757120?updateEntityUrn=urn%3Ali%3Afs_updateV2%3A%28urn%3Ali%3AugcPost%3A6925392519098757120%2CFEED_DETAIL%2CEMPTY%2CDEFAULT%2Cfalse%29

Thursday, 3 March 2022

textile android apps apk link 🔗

This site android apps. apk file download link 🔗 

https://drive.google.com/file/d/1Jll94XdNYd96nT8HhSzTQqWk2VT5WxZR/view?usp=drivesdk

You can download and access all over the world 🗺

Tuesday, 1 March 2022

শীর্ষ রফতানিকারক হা-মীম পলমল ডিবিএল

শীর্ষ রফতানিকারক হা-মীম পলমল ডিবিএল

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে আর সব দেশের মতো ভুগতে হয় বাংলাদেশকেও। মহামারীর কারণে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের শেষ দিক থেকেই শুরু হয় ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিলের ধারা, যা অব্যাহত ছিল বছরজুড়ে। তবে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মহামারীর সেই অভিঘাত পরের বছরই কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন দেশের শিল্পোদ্যোক্তারা। পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর রফতানির তালিকা অনুযায়ী, অভিঘাত কাটিয়ে ওঠার পেছনে বড় ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ হলো হা-মীম, পলমল ও ডিবিএল।

২০২১ সালে বিজিএমইএর শীর্ষ রফতানিকারক সদস্য কারখানা ইউনিটগুলোর তালিকা পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম অবস্থানে রয়েছে হা-মীম গ্রুপ। তিন কারখানা রিফাত গার্মেন্টস, আর্টিস্টিক ডিজাইন ও অ্যাপারেল গ্যালারির মাধ্যমে ২০২১ সালে হা-মীম গ্রুপ রফতানি করে ৫৮ কোটি ডলারেরও বেশি পোশাক পণ্য।

১৯৮৪ সালে হা-মীম গ্রুপের ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেন একে আজাদ। তার গড়ে তোলা হা-মীম গ্রুপে একে একে যুক্ত হয়েছে ২৬টি কারখানা। এ গ্রুপের ওভেন পোশাক পণ্য প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্টিস্টিক ডিজাইন লিমিটেড, হা-মীম অ্যাপারেলস লিমিটেড, দ্যাটস ইট গার্মেন্টস লিমিটেড, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অ্যাপারেলস গ্যালারি লিমিটেড, রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড, ক্রিয়েটিভ কালেকশন লিমিটেড, নেক্সট কালেকশনস লিমিটেড, হা-মীম ডিজাইন লিমিটেড। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান রফতানিকারক ইউনিট হলো ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড।

এছাড়া হা-মীম গ্রুপের সোয়েটার উৎপাদনকারী কারখানার মধ্যে আছে দ্যাটস ইট নিট লিমিটেড ও দ্যাটস ইট সোয়েটার লিমিটেড। ওয়াশিং কারখানা আছে সাতটি, যেগুলোর ওয়াশিং সক্ষমতা প্রতিদিন তিন লাখ পিচ। ডেনিম কাপড়ের কারখানাটি হলো হা-মীম ডেনিম মিলস লিমিটেড। এমব্রয়ডারি, প্রিন্টিং ও অ্যাকসেসরিজের মতো পোশাকের আনুষঙ্গিক পণ্য উৎপাদন সক্ষমতাও আছে হা-মীম গ্রুপের। সব মিলিয়ে এ গ্রুপের আওতায় ২৬টি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে প্রোডাকশন লাইন সংখ্যা ৩০০। প্রতি মাসে হা-মীম গ্রুপের উৎপাদন সক্ষমতা ৭০ লাখ পিচ। গ্রুপের অধীনে কর্মরত কর্মী সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।

কভিডকাল পেরিয়ে ব্যবসায়িক উত্তরণের বিষয়ে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বণিক বার্তাকে বলেন, ২০২০ সালে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কারখানা চালু রাখা। সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে ২০২১ সালে। এখন প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে পোশাক কারখানাগুলোয়। গত অর্থবছরে পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধিও ভালো ছিল। এখন আমরা এ প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে কাজ করছি।

হা-মীমের পরই সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি করা প্রতিষ্ঠানটি হলো পলমল। শীর্ষ তালিকায় আছে এ গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান। নাফা অ্যাপারেলস, আসওয়াদ কম্পোজিট মিলস ও আয়েশা ক্লদিং কো.— এ তিন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২১ সালে পলমল গ্রুপের পোশাক রফতানির অর্থমূল্য ছিল ৪৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানটি হলো দুলাল ব্রাদার্স লিমিটেড বা ডিবিএল গ্রুপ। তালিকায় এ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রয়েছে দুটি। এগুলো হলো ফ্লেমিঙ্গো ফ্যাশনস ও জিন্নাত নিটওয়্যারস। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২১ সালে ডিবিএল গ্রুপ ৪৫ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি করেছে।

বস্ত্র, পোশাক, সিরামিক, ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে ব্যবসা থাকা ডিবিএল গ্রুপে কর্মী সংখ্যা ৩৮ হাজারেরও বেশি। গ্রুপটির বার্ষিক টার্নওভার ৬০ কোটি ডলার। এ প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কভিডের অভিঘাত কাটিয়ে ২০২১ সালে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ বাড়তে শুরু করে, যার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত।

ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এমএ রহিম ফিরোজ বণিক বার্তাকে বলেন, কভিডকাল গোটা পোশাক খাতেই নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। অভিঘাত কাটিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা যখন সচল হলো তখন সেখানকার ক্রেতারা তাদের সরকারের দেয়া বিভিন্ন প্রণোদনা খরচ করতে শুরু করেন। ফলে চাহিদা চাঙ্গা হতে শুরু করে। দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রফতানিকারক হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই যার চাপ এসে পড়ে বাংলাদেশে। পাশাপাশি চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের প্রভাবে চীন থেকে ক্রয়াদেশের একটি অংশ বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনামে ভাগ হয়ে যায়। এসব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে কভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধার শুরু হয়। সে ধারাবাহিকতা এখনো বজায় আছে। সব মিলিয়ে ২০২১ সালে আমরা প্রায় ৪৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করতে সক্ষম হয়েছি।

তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানটি হলো স্কয়ার গ্রুপের স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালে রফতানি হয়েছে ৩১ কোটি ডলারের বেশি পোশাক পণ্য। পঞ্চম অবস্থানে আছে আল-মুসলিম গ্রুপের একেএম নিটওয়্যার। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গত বছর গ্রুপটির পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল সাড়ে ২০ কোটি ডলারের বেশি। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে মণ্ডল গ্রুপ। এ গ্রুপের কটন ক্লাব লিমিটেডের রফতানি ছিল ১৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।

এশিয়ান গ্রুপের চিটাগং এশিয়ান অ্যাপারেলস ছিল তালিকার সপ্তম অবস্থানে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালে রফতানি হয়েছে ১৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের পণ্য। একেএইচ গ্রুপের একেএইচ নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড রয়েছে বিজিএমইএর শীর্ষ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের তালিকার অষ্টম অবস্থানে। প্রতিষ্ঠানটির পোশাক রফতানির পরিমাণ ২০২১ সালে ছিল ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ডলারের কিছু বেশি।

নবম অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানটি হলো ন্যাচারাল ডেনিমস। ন্যাচারাল গ্রুপের এ প্রতিষ্ঠানের রফতানি ২০২১ সালে ছিল ১৬ কোটি ১৫ লাখ ডলারের। দশম অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানটি হলো বিটপি গ্রুপের। তারাশিমা অ্যাপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে ১৬ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে।

তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে নিউটেক্স গ্রুপের ইমপ্রেস-নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইলস লিমিটেড। ইপিলিয়ন গ্রুপের ইপিলিয়ন স্টাইল, আরমানা গ্রুপের ডেনিম্যাক, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স, পাকিজা গ্রুপের পাকিজা নিট কম্পোজিট, অ্যাপটেক গ্রুপের বিগ বস করপোরেশন, ডেকো গ্রুপের ডেকো ডিজাইনস, নিউএজ গ্রুপের নিউএজ অ্যাপারেলস, উইন্ডি গ্রুপের উইন্ডি অ্যাপরেলস, নাসা গ্রুপের এজে সুপার গার্মেন্টস, এসকিউ গ্রুপের এসকিউ সেলসিয়াস, অনন্ত গ্রুপের অনন্ত গার্মেন্টস, ডেবোনেয়ার গ্রুপের ডেবোনেয়ার ও কেডিএস গ্রুপের কেডিএস গার্মেন্ট।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বণিক বার্তাকে বলেন, পোশাক খাতে এখন যে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে তার সবই অনেক ছোট থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থান সৃষ্টি করেছে। একে একে শিল্প গড়ে তুলে দেশের বিপুল মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক খাতের যে অবস্থান তা সৃষ্টিতে এ বড় গ্রুপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রফতানি হয় ২ হাজার ৭৪৭ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার ডলারের। ২০২১ সালে এসে যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার ৫৮১ কোটি ১৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে।

Tuesday, 22 February 2022

দেশের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে মার্কস লাইন

দেশের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে মার্কস লাইন,প্রস্তাব জমা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।আরো বিশ্বের নামীদামী কোম্পানি চায় কাজ করতে।

এই নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের পরিচালনার কাজ পেতে তিনটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান জোর তদবির চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে ঐসব দেশের সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়াও আরো কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান পিসিটির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে প্রস্তাব দিয়েছে। 

গ্লোবাল পোর্ট এবং টার্মিনাল অপারেটর এপিএম টার্মিনাল,যা ডেনিশ শিপিং কোম্পানি এপি মুলার মার্কস লাইনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।তারা চট্টগ্রাম বন্দরের নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের উন্নয়ন ও পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটি ইতিমধ্যেই তার প্রস্তাব জমা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরের পিসিটি পরিচালনার কাজ পেতে সৌদি আরবের রেড সি, দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড।

সৌদি আরবের রেড সি নামক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এক ব্যক্তি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

ডিপি ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে পিসিটি পরিচালনার ব্যাপারে একটি প্রকল্প প্রস্তাব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে।

বিশ্বব্যাপী মার্কস লাইন কনটেইনার পরিবহনের যে বিস্তৃতি এবং টার্মিনাল বা জেটির মূল প্রাণ হচ্ছে পণ্যবাহী কনটেইনার ওঠানামা। এই ক্ষেত্রে মার্কস লাইনের কোম্পানি তথা এপি মুলার কর্তৃক পিসিটি পরিচালনা এবং জেটিকে কর্মময় করে রাখার ক্ষেত্রে তার অবস্থান এগিয়ে থাকবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পণ্যবাহী কনটেইনার পিসিটি থেকে সরাসরি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে বন্দর বিশেষজ্ঞদের অভিমত। যা তাদের ব্যবসার স্বার্থে প্রসারিত করতে পারে।

২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়। আগামী এপ্রিলে বন্দরের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। 

তিনটি কনটেইনার ও কার্গো জেটি এবং একটি ডলফিন জেটি (তেলবাহী জাহাজের জেটি) নিয়ে পিসিটি টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে।

এই টার্মিনালের নির্মাণের ফলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে আসবে আরো বেশি গতিশীলতা।

ভারতের তুলা রফতানি বাড়ার পূর্বাভাস

ভারতের তুলা রফতানি বাড়ার পূর্বাভাস

চলতি মৌসুমে ভারতের তুলা রফতানি বাড়ার পূর্বাভাস মিলেছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় আমদানিকারক দেশগুলোর পোশাক খাতে তুলার চাহিদা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এতে এসব দেশ ভারত থেকে তুলা ক্রয়ের পরিমাণ বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইউএসডিএর ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের (এফএএস) মুম্বাই অফিসের দেয়া এক পূর্বাভাসে দেখা গেছে, ২০২১-২২ মৌসুমে ভারত ৫৯ লাখ বেল (প্রতি বেলে ৪৮০ পাউন্ড) তুলা রফতানি করতে সক্ষম হবে। ইউএসডিএর দাপ্তরিক পূর্বাভাসের তুলনায় এটি এক লাখ বেল বেশি।

চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১-২২ বিপণন মৌসুম শেষ হবে। এফএএসের মুম্বাই অফিসের প্রাক্কলন অনুযায়ী, শুধু গত বছরের ডিসেম্বরেই ভারতের তুলা রফতানি আগের মাসের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেড়ে যায়। বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, চীন ও ইন্দোনেশিয়া ছিল দেশটির প্রধান প্রধান রফতানি গন্তব্য। এর মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের শীর্ষ তুলা ক্রেতার তকমা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের তুলা রফতানি বাজারের হিস্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। একইভাবে তুলা থেকে তৈরি সুতা ও তুলাজাত পণ্য রফতানিও ক্রমেই বাড়ছে।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক বাণিজ্যসংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়, চলতি বছর জানুয়ারিতে মূল্যবানের দিক থেকে ভারতের তুলাজাত সুতা, ফ্যাব্রিকস, তৈরি পণ্য ও হ্যান্ডলুম পণ্য রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। যদিও ডিসেম্বরের তুলনায় এসব পণ্যের সম্মিলিত রফতানি ৩৩ শতাংশ কমেছে।

এদিকে জানুয়ারিতে সব ধরনের তৈরি পোশাক রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ডিসেম্বরের তুলনায় বেড়েছে ১২ শতাংশ।

মুম্বাই এফএএস অফিসের পূর্বাভাস বলছে, ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে ভারতে তুলা আমদানি ১০ লাখ বেলে পৌঁছবে। ইউএসডিএর অফিশিয়াল প্রাক্কলনেও একই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সংস্থাটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে আমদানি ২১ শতাংশ বেড়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্থানীয় চাহিদার ৩৪ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ২৮ শতাংশ আমদানি করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট চাহিদার বড় একটি অংশই এসেছে এসব দেশ থেকে। এছাড়া মিসর, গ্রিস ও ক্যামেরুন থেকেও কিছু তুলা আমদানি করা হয়েছে। ৬৫ শতাংশ আমদানিই এসেছে দক্ষিণ ভারতের বন্দরগুলো দিয়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত তুলা আমদানি করে তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পুনরায় রফতানি করে। ভারতের তুলা মিলগুলো এরই মধ্যে বড় পরিসরে রফতানি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। মিলগুলোয় ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা থাকায় আমদানি বাড়ছে।

তথ্য বলছে, চলতি বাজেটে দেশটির সরকার তুলার আমদানি শুল্ক আগের মতো রেখেছে। দেশটিতে উৎপাদিত তুলার দাম বেশি থাকায় মিলগুলো আমদানির মাধ্যমেই রফতানি চাহিদা পূরণে বেশি আগ্রহী।

এফএএস মুম্বাইয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে ভারতে ২ কোটি ৭৪ লাখ বেল তুলা উৎপাদন হতে পারে। সব মিলিয়ে তুলা আবাদ হবে ১ কোটি ২১ হেক্টর জমিতে। যদিও তুলাবীজের দাম, ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন ব্যয়ের কারণে চাষীরা বাজারে তুলা সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
চলতি মৌসুমে ভারতের মিলগুলোয় ২ কোটি ৬৫ লাখ বেল তুলা ব্যবহার হতে পারে। রফতানি চাহিদায় উল্লম্ফনের কারণে ব্যবহার বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

বণিক বার্তা ডেস্ক

Wednesday, 16 February 2022

ইউরোপীয় তিন দেশ চায় সরাসরি বাংলা ইউরো ট্রানজিট।

ইউরোপীয় তিন দেশ চায় সরাসরি বাংলা ইউরো ট্রানজিট। 

দেশগুলো হচ্ছে, ইউরোপের দেশ পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া ও ডেনমার্ক। চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে একটি কম্পানি সরাসরি কনটেইনার জাহাজ সার্ভিস চালুর পর এই তিনটি দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।

 এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-ইউরোপ রুটে নিরবচ্ছিন্ন পণ্য পরিবহনের জট খুলছে।পুর্বে চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহন হতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়েই। 

অর্থাৎ ইউরোপগামী ভেসেল চট্টগ্রাম হয়ে শ্রীলংকা,সিংগাপুর বন্দর হয়ে তবেই গন্তব্যে যাত্রা করত।

তবে,এখন সরাসরি সার্ভিস চালু হওয়ায় সময় সাশ্রয়, অর্থ সাশ্রয় ও ভোগান্তি কমবে। 

উল্লেখে,গত ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে ‘রিফ লাইন’ নামের একটি কম্পানি সরাসরি জাহাজ সার্ভিস চালু করে। দুটি জাহাজ দিয়ে তারা এই কনটেইনার সার্ভিস চালু করে।যা ইউরো-বাংলা উভয় দেশের বাণিজ্যে এক নব দিগন্তের সূচনা করে

ইউরোপগামী প্রথম জাহাজ ‘সুঙ্গা চিতা’ ৯৫০ একক রপ্তানি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে প্রথম ইউরোপ সার্ভিস চালু হয়। রপ্তানিকারকরা ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন। এর মূল কারণ এই সার্ভিসে মাত্র ১৬ দিনে ইতালি পৌঁছানোর সুযোগ।

অন্যদিকে,মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে দেশের অর্থনীতি কতটা বদলে যাবে তা নিয়ে আশার আলো গুনতে শুরু করেছে মাতারবাড়ি বন্দর প্রকল্পের মানুষেরা।

দেশের অর্থনীতিতে বিপুল অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ট্রেড ভলিউম বাড়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। 

Tuesday, 15 February 2022

পোশাকের বর্জ্য থেকে সুতা তৈরি করে সিমকো

পোশাকের বর্জ্য থেকে সুতা তৈরি করে সিমকো

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে পোশাকের মূল কাঁচামাল সুতা উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পৃথিবীতে। বাড়ছে পোশাকের বর্জ্য, অপচয় হচ্ছে পানি, বিষাক্ত রাসায়নিকে নষ্ট হচ্ছে মাটি, বাড়ছে কার্বন নিঃসরণও। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। দূষিত হচ্ছে পরিবেশও।

এত কিছুর পরও এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে পোশাকবর্জ্যের মাত্র ১২ শতাংশ পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল হয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য পোশাকবর্জ্যের পুনর্ব্যবহার নিয়ে চলছে পৃথিবীজুড়ে নানা গবেষণা। বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোও ঝুঁকতে শুরু করেছে পুনঃ উৎপাদিত পণ্যে। বাংলাদেশেও পোশাকবর্জ্যের পুনর্ব্যবহার শুরু হয়েছে। একাধিক প্রতিষ্ঠান এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইল। সাইক্লো ফাইবার নামে তাদের একটি সুতার ব্র্যান্ডও রয়েছে।

সাইক্লো ফাইবারের সুতা পুরোনো পোশাক বা ঝুট কাপড় দিয়ে উৎপাদন করে সিমকো। ২০১০ সালে সিমকো গ্রুপ যখন এই প্রকল্পে হাত দেয়, তখনো বিষয়টি এতটা জোরেশোরে আলোচনায় আসেনি। ফলে অনেকেই তখন বেশ অবাক হয়েছিলেন। কেউ কেউ এ উদ্যোগের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন।

এমনটাই জানালেন সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলের পরিচালক মুস্তাফাইন মুনীর। তিনি বলেন, এক দশক আগে আমার বাবা খাজা মুনীর মাশুকুল্লাহ এই উদ্যোগ নেন। সে সময় একটি স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠানের টি-শার্টের ঝুট থেকে সুতা তৈরির বিষয়টি জানার পর বাবা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অনুধাবন করতে পারেন। তখন বাবা ভাবলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রচুর টি-শার্ট তৈরি হয়। সেই টি-শার্টের ঝুট থেকে পুনঃ উৎপাদনের মাধ্যমে সহজেই মানসম্পন্ন সুতা উৎপাদন করা সম্ভব। এভাবেই শুরু। আসলে সম্ভাবনার পাশাপাশি অব্যবহৃত কাঁচামাল ব্যবহারে মূল্য সুবিধার বিষয়টি বাবাকে উদ্যোগী করে তোলে।

বাবার কাছ থেকে শুনে এই উদ্যোগের প্রতি আগ্রহী হন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা মুস্তাফাইন মুনীর। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাশাপাশি সংগীত ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের ওপর পড়াশোনা করেন। পড়ালেখা শেষে ২০১১ সালে দেশে ফিরে হাল ধরেন এই প্রকল্পে। তার হাত ধরেই এখন এগিয়ে চলছে সিমকোর পুনঃ উৎপাদন ব্যবসা।

সিমকো সুতা তৈরির জন্য সাধারণত পোশাক কারখানা থেকে সংগ্রহ করা ঝুট কাপড় ব্যবহার করে। এ ছাড়া কোনো ব্র্যান্ডের বাতিল হওয়া নতুন পোশাকও ব্যবহার করা হয়। তবে সুতার শক্তি বাড়াতে অনেক ক্ষেত্রে নতুন তন্তু বিশেষ করে তুলা (ভার্জিন কটন) যুক্ত করা হয়। শক্তির তারতম্য অনুযায়ী ঝুটের সঙ্গে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ অন্য তন্তু মেশানো হয়ে থাকে।

ঝুট কিংবা পুরোনো কাপড় দিয়ে সুতা তৈরি করতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর বা রং করার প্রয়োজন হয় না। তাতে পানির সাশ্রয় হয়। কার্বন ডাই–অক্সাইড নিঃসরণও কমানো যায়। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত ঝুটের মাত্র ২০ শতাংশ দেশে পুনর্ব্যবহার হচ্ছে। বাকি ৮০ শতাংশ রপ্তানি হচ্ছে ভারত ও চীনে। এমন তথ্য দিয়ে মুস্তাফাইন মুনীর জানান, দেশীয় বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে এই ঝুট পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডই তাদের নির্ধারিত তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়ায় ঝুট পাওয়া কিছুটা সহজ হয়েছে।

নিট ও ওভেন—উভয় ধরনের পোশাকের জন্যই সুতা তৈরি করে থাকে সাইক্লো। তবে এই সুতায় মাঝেমধ্যে রঙের তারতম্য ঘটে থাকে। যদিও সেটা খুব একটা যে চোখে পড়ার মতো, তা-ও নয়। সাইক্লো ফাইবার ৬ সিঙ্গেল থেকে ৩০ সিঙ্গেল পর্যন্ত বিভিন্ন কাউন্টের হয়ে থাকে। পুনঃ উৎপাদিত সুতার দাম সাধারণ সুতার চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম বলে জানান মুস্তাফাইন মুনীর।

সাইক্লোর তৈরি সুতা দিয়ে টি-শার্ট, পোলো শার্ট, সোয়েটার, ডেনিম কাপড়, শার্ট, জিনস ইত্যাদি ছাড়াও গ্লাভস, মোজা, কমফোর্টার, হোম টেক্সটাইল, ব্যাগসহ নানা ধরনের অনুষঙ্গও তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি পণ্যের ধরন অনুযায়ী তৈরি হয় সুতা। বর্তমানে সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইল এইচঅ্যান্ডএম, জারা, প্রাইমার্ক, বারশকা, বেস্টসেলার, লিডল, কিয়াভি, কোহল’স, ওয়ালমার্ট, কিক, হেমা, রেনার, অ্যাডিডাস, নাইকি, টার্গেট, ইন্ডিটেক্সসহ অন্তত ৪০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুতা নিয়ে থাকে এইচঅ্যান্ডএম। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মৌসুমেই ১৫ লাখ কেজি সুতা কিনে থাকে।

সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলের পরিবেশবান্ধব সুতা তৈরির এ যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। মুস্তাফাইন মুনীর জানান, ২০১৫ থেকে ২০২১—এই ছয় বছরে পোশাকবর্জ্য ব্যবহার করে ১০ হাজার টনের বেশি সুতা উৎপাদিত হয়েছে ঝুট ব্যবহার করে। এতে সাশ্রয় হয়েছে ৭৫ হাজার টন কার্বন ডাই-অক্সাইড, ২০৬ কোটি লিটার পানি এবং ৭১ হাজার টন ক্ষতিকারক বিষাক্ত বর্জ্য।

ময়মনসিংহের ভালুকায় সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলের কারখানায় সুতা উৎপাদন হচ্ছে
ময়মনসিংহের ভালুকায় সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলের কারখানায় সুতা উৎপাদন হচ্ছেছবি: সংগৃহীত
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে পোশাকের মূল কাঁচামাল সুতা উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পৃথিবীতে। বাড়ছে পোশাকের বর্জ্য, অপচয় হচ্ছে পানি, বিষাক্ত রাসায়নিকে নষ্ট হচ্ছে মাটি, বাড়ছে কার্বন নিঃসরণও। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। দূষিত হচ্ছে পরিবেশও।

এত কিছুর পরও এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে পোশাকবর্জ্যের মাত্র ১২ শতাংশ পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল হয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য পোশাকবর্জ্যের পুনর্ব্যবহার নিয়ে চলছে পৃথিবীজুড়ে নানা গবেষণা। বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোও ঝুঁকতে শুরু করেছে পুনঃ উৎপাদিত পণ্যে। বাংলাদেশেও পোশাকবর্জ্যের পুনর্ব্যবহার শুরু হয়েছে। একাধিক প্রতিষ্ঠান এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইল। সাইক্লো ফাইবার নামে তাদের একটি সুতার ব্র্যান্ডও রয়েছে।

সাইক্লো ফাইবারের সুতা পুরোনো পোশাক বা ঝুট কাপড় দিয়ে উৎপাদন করে সিমকো। ২০১০ সালে সিমকো গ্রুপ যখন এই প্রকল্পে হাত দেয়, তখনো বিষয়টি এতটা জোরেশোরে আলোচনায় আসেনি। ফলে অনেকেই তখন বেশ অবাক হয়েছিলেন। কেউ কেউ এ উদ্যোগের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন।


সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলের পরিচালক মুস্তাফাইন মুনীর
সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলের পরিচালক মুস্তাফাইন মুনীর
এমনটাই জানালেন সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলের পরিচালক মুস্তাফাইন মুনীর। তিনি বলেন, এক দশক আগে আমার বাবা খাজা মুনীর মাশুকুল্লাহ এই উদ্যোগ নেন। সে সময় একটি স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠানের টি-শার্টের ঝুট থেকে সুতা তৈরির বিষয়টি জানার পর বাবা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অনুধাবন করতে পারেন। তখন বাবা ভাবলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রচুর টি-শার্ট তৈরি হয়। সেই টি-শার্টের ঝুট থেকে পুনঃ উৎপাদনের মাধ্যমে সহজেই মানসম্পন্ন সুতা উৎপাদন করা সম্ভব। এভাবেই শুরু। আসলে সম্ভাবনার পাশাপাশি অব্যবহৃত কাঁচামাল ব্যবহারে মূল্য সুবিধার বিষয়টি বাবাকে উদ্যোগী করে তোলে।

বাবার কাছ থেকে শুনে এই উদ্যোগের প্রতি আগ্রহী হন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা মুস্তাফাইন মুনীর। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাশাপাশি সংগীত ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের ওপর পড়াশোনা করেন। পড়ালেখা শেষে ২০১১ সালে দেশে ফিরে হাল ধরেন এই প্রকল্পে। তার হাত ধরেই এখন এগিয়ে চলছে সিমকোর পুনঃ উৎপাদন ব্যবসা।

সিমকো সুতা তৈরির জন্য সাধারণত পোশাক কারখানা থেকে সংগ্রহ করা ঝুট কাপড় ব্যবহার করে। এ ছাড়া কোনো ব্র্যান্ডের বাতিল হওয়া নতুন পোশাকও ব্যবহার করা হয়। তবে সুতার শক্তি বাড়াতে অনেক ক্ষেত্রে নতুন তন্তু বিশেষ করে তুলা (ভার্জিন কটন) যুক্ত করা হয়। শক্তির তারতম্য অনুযায়ী ঝুটের সঙ্গে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ অন্য তন্তু মেশানো হয়ে থাকে।

ঝুট কিংবা পুরোনো কাপড় দিয়ে সুতা তৈরি করতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর বা রং করার প্রয়োজন হয় না। তাতে পানির সাশ্রয় হয়। কার্বন ডাই–অক্সাইড নিঃসরণও কমানো যায়। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত ঝুটের মাত্র ২০ শতাংশ দেশে পুনর্ব্যবহার হচ্ছে। বাকি ৮০ শতাংশ রপ্তানি হচ্ছে ভারত ও চীনে। এমন তথ্য দিয়ে মুস্তাফাইন মুনীর জানান, দেশীয় বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে এই ঝুট পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডই তাদের নির্ধারিত তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়ায় ঝুট পাওয়া কিছুটা সহজ হয়েছে।

নিট ও ওভেন—উভয় ধরনের পোশাকের জন্যই সুতা তৈরি করে থাকে সাইক্লো। তবে এই সুতায় মাঝেমধ্যে রঙের তারতম্য ঘটে থাকে। যদিও সেটা খুব একটা যে চোখে পড়ার মতো, তা-ও নয়। সাইক্লো ফাইবার ৬ সিঙ্গেল থেকে ৩০ সিঙ্গেল পর্যন্ত বিভিন্ন কাউন্টের হয়ে থাকে। পুনঃ উৎপাদিত সুতার দাম সাধারণ সুতার চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম বলে জানান মুস্তাফাইন মুনীর।

সাইক্লোর তৈরি সুতা দিয়ে টি-শার্ট, পোলো শার্ট, সোয়েটার, ডেনিম কাপড়, শার্ট, জিনস ইত্যাদি ছাড়াও গ্লাভস, মোজা, কমফোর্টার, হোম টেক্সটাইল, ব্যাগসহ নানা ধরনের অনুষঙ্গও তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি পণ্যের ধরন অনুযায়ী তৈরি হয় সুতা। বর্তমানে সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইল এইচঅ্যান্ডএম, জারা, প্রাইমার্ক, বারশকা, বেস্টসেলার, লিডল, কিয়াভি, কোহল’স, ওয়ালমার্ট, কিক, হেমা, রেনার, অ্যাডিডাস, নাইকি, টার্গেট, ইন্ডিটেক্সসহ অন্তত ৪০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুতা নিয়ে থাকে এইচঅ্যান্ডএম। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মৌসুমেই ১৫ লাখ কেজি সুতা কিনে থাকে।

সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলের পরিবেশবান্ধব সুতা তৈরির এ যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। মুস্তাফাইন মুনীর জানান, ২০১৫ থেকে ২০২১—এই ছয় বছরে পোশাকবর্জ্য ব্যবহার করে ১০ হাজার টনের বেশি সুতা উৎপাদিত হয়েছে ঝুট ব্যবহার করে। এতে সাশ্রয় হয়েছে ৭৫ হাজার টন কার্বন ডাই-অক্সাইড, ২০৬ কোটি লিটার পানি এবং ৭১ হাজার টন ক্ষতিকারক বিষাক্ত বর্জ্য।

ময়মনসিংহের ভালুকার কারখানায় বর্তমানে প্রতিদিন ১৩ টন সুতা তৈরি করছে সিমকো। ২৫০ কর্মী নিয়ে শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন ৭০০ কর্মী। গত দুই বছরে তাঁদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে ৬০ শতাংশ। মুস্তাফাইন মুনীর জানান, ২০১১-১২ অর্থবছরে তাঁদের উৎপাদন ছিল ২ হাজার ৪০০ টন সুতা, যার আর্থিক মূল্য ছিল ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার। আর গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এসে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪০০ টনে, যার অর্থমূল্য ১ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
সাইক্লো ব্র্যান্ডের যে সুতা তৈরি হচ্ছে, তা সবই নতুন বর্জ্য থেকে। তবে পুরোনো বর্জ্য ব্যবহার করে সুতা উৎপাদনের সমূহ সম্ভাবনাও রয়েছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কাঁচামাল (পুরোনো পোশাক) পাওয়া না যাওয়ায় সেটা এখনো সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশের ক্রেতারা পুরোনো সুতায় তৈরি পোশাকের প্রতি ততটা আগ্রহী নয়। তা সত্ত্বেও পোশাকের দেশীয় ব্র্যান্ড ঢাকা রিপাবলিক, পারা, খেলো বিডি, মোটিফ এবং হ্যান্ডটাচ সাইক্লো ফাইবার ব্যবহার করে থাকে।

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ আবারও বিশ্বে ২য় অবস্থানে।

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ আবারও বিশ্বে ২য় অবস্থানে। 

২০২১ এর তৈরি পোশাক এক্সপোর্ট আয় অনুযায়ী বাংলাদেশ আবারো পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের ২য় হবার সন্মান ফিরে পেয়েছে। বাংলাদেশ সকল লিমিটেশন কাটিয়ে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের স্বপ্ন পূরণ করবে এই প্রত্যাশা করি। 
EPB তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ আয় করে $৩৫.৮১ বিলিয়ন। ভিয়েতনাম আয় করে $৩২.৭৫ বিলিয়ন। (২০২১) 

তথ্য: Textile Today

Wednesday, 9 February 2022

বাংলাদেশের পরবর্তী সেরা ব্যাবসা হবে শিপিং বিজনেস!

বাংলাদেশের পরবর্তী সেরা ব্যাবসা হবে শিপিং বিজনেস!

বাংলাদেশের শিপিং কর্পোরেশন এর অধীনে ধুকতে থাকা পুরাতন জাহাজ যখন একের পর এক অবসরে পাঠানো হচ্ছিল, আমাদের সামনে বিকল্প তেমন ছিলনা। 

বৈদেশিক বাণিজ্য যেখানে $১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে (এর ৯০% সমুদ্র পথে), শুধুমাত্র জাহাজ ভাড়া দিতেই বাংলাদেশকে খরচ করতে হয় ৩০,০০০ কোটি টাকার বেশি! 

কিন্তু প্রাইভেট সেক্টর এগিয়ে আসায় পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নিয়েছে। জাহাজের সংখ্যা যখন কমতে কমতে ১৫ এর নিচে সেখান থেকেই ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মাত্র কয়েক বছরেই সরকারি বেসরকারি জাহাজের বহরে নতুন জাহাজ যুক্ত হতে থাকে। বর্তমানে দেশে সমুদ্রগামী জাহাজ এর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৮০ টি। শুধুমাত্র বিগত ৪ বছরেই যুক্ত হয়েছে ৫৬ টি জাহাজ!

দেশের শিপিং কোম্পানিগুলি ভাড়া বাবদ আয় করেছে ৩,১১০ কোটি টাকা!

এবার আসা যাক ভিন্ন প্রসংগে। 

বর্তমানে বিশ্বে জাহাজের মালিকানার বিবেচনায় বাংলাদেশ খুব দ্রুত উপরে উঠে এসেছে। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯ তম যেখানে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ১৬ তম, ৮৭ তম ও ৮৭ তম। 

এবার আরেকটা ছোট উদাহরন দেয়া যাক। বাংলাদেশের মোট ৮০ টা জাহাজের ভেতর মাত্র ৬ টি হচ্ছে কন্টেইনারবাহী জাহাজ। আর এই ৬ টি জাহাজের মালিক বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান H. R. Lines। বাংলাদেশের কন্টেইনার পরিবহনের সিংহভাগ দখল করে আছে Mearsk। কিন্তু মজার বিষয় হল, বিশ্বের কন্টেইনার ভেসেল কোম্পানির লিস্টে বাংলাদেশের পতাকাবাহী এইচ আর লাইন্স ৭১ তম স্থান দখল করে আছে। ১০০ কোম্পানির মধ্যে সাউথ এশিয়ার শুধু আরেকটি কোম্পানি আছে। সেটা ভারতের সরকারি শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া। তবে তাদের অবস্থান বাংলাদেশের নিচে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের উপরে কারো অবস্থান নেই। 

এইচ আর লাইনের বর্তমান সক্ষমতা ৬ জাহাজে ৯০০০ টুয়েন্টি ফিট কন্টেইনার। বর্তমানে তারা মাসে ১৭০০০ কন্টেইনার পরিবহন করতে পারে। খুব শিঘ্রই এই কোম্পানিতে আরো ১৭৪০০ কন্টেইনার সক্ষমতার ৬ টি জাহাজ যুক্ত হতে যাচ্ছে। 

চট্টগ্রাম থেকে কন্টেইনার জাহাজ চীন, সিংগাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও ইতালি যায়। এসব রুটে ২৫ কোম্পানির ৮৫ টি জাহাজে ১,৫০,০০০ কন্টেইনার বহনের সক্ষমতা রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের জন্য বড় একটি বাজার রয়েছে ধরার মত। 

বাংলাদেশ ফ্লাগ ভেসেল প্রটেকশন অর্ডিনেন্স জারি হয় ২০১৯ সালে যেখানে এখন বাধ্যতামূলক কমপক্ষে ৫০% সমুদ্রগামী কার্গো বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজে নেয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। আর এর ফলেই ধেয়ে আসছে দেশি বিনিয়োগ। 
বিশ্বে এখন শিপিং খরচ বেড়ে গেছে। বুকিং দিয়েও জাহাজ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে লিড টাইম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ খুব সম্ভবত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ শিপিং কস্ট কমিয়ে আনতে এবং লিড টাইম কমিয়ে আনতে ইউরোপের সাথে সরাসরি সমুদ্রপথে সংযোগ চালু করেছে। সম্প্রতি সোঙ্গা চিতা নামে জাহাজ প্রথম চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গিয়েছে ইতালির উদ্দেশ্যে। এতে আগে যেখানে ৪০ দিন সময় লাগত সেটা ২৪ দিন কমে মাত্র ১৬ দিন লাগবে। শিপিং কস্ট কমবে ৪০%। এতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 

শিপিং এর জন্য বিদেশ নির্ভরতা কমাতে পারলে শুধু ভাড়া বাবদ কয়েক বিলিয়ন ডলার কমানো সম্ভব। সেই সাথে সাপ্লাই চেইনের দুর্বলতা কমিয়ে আনা যাবে। 

এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। 

Friday, 4 February 2022

চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কার বন্দর ঘুরে ইতালিতে যেতে স্বাভাবিকভাবে সময় লাগে ২৪ থেকে ২৮ দিন।

চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কার বন্দর ঘুরে ইতালিতে যেতে স্বাভাবিকভাবে সময় লাগে ২৪ থেকে ২৮ দিন। এখন সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কায় বড় জাহাজে বুকিং পেতে দেরি হওয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সময় লাগছে ৩০ থেকে ৩৫ দিনের বেশি। তবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে পণ্য রপ্তানির এই সময় কমিয়ে দিচ্ছে চট্টগ্রাম-ইতালি সরাসরি জাহাজ সেবা। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা বলছেন, এখন ভিয়েতনামের চেয়ে অন্তত এক-দুই সপ্তাহের কম সময়ে ইতালির বন্দরে রপ্তানি পণ্য পাঠাতে পারবেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা।

Thursday, 3 February 2022

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ব্যয় বাড়াতে পারে নিউইয়র্ক বিল

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ব্যয় বাড়াতে পারে নিউইয়র্ক বিল 

নিউইয়র্ক ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পণ্যের সাপ্লাই চেইনে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে কমপ্লায়েন্সে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে এ বিষয়ে আইনও পাস হয়েছে।

বিশ্বের ফ্যাশনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেটে সম্প্রতি একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে, যাতে ফ্যাশনের বড় ব্র্যান্ডগুলোসহ পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত পক্ষগুলোকে এ্যাকাউন্টেবিলিটির মধ্যে আনা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোন স্টেট হিসেবে নিউইয়র্কে ফ্যাশন সাস্টেইনেবিলিটি অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট নামে আনা এ বিলটি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নিউইয়র্ক ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পণ্যের সাপ্লাই চেইনে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে কমপ্লায়েন্সে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে এ বিষয়ে আইনও পাস হয়েছে। কোম্পানিগুলো যাতে তাদের পুরো সাপ্লাই চেইনে হিউম্যান রাইটস ও এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন মানার বাধ্যবাধকতার মধ্যে আসে, সেটি নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এতে সাপ্লাই চেইনের অন্যতম পার্ট হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারীদের উপর কী ধরনের প্রভাব আসতে পারে?

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি উৎপাদন বাজারের অনিবার্য ভবিষ্যত। ফলে এই ধরনের ব্যবস্থাকে আর এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের উৎপাদকদের আরও কমপ্লায়েন্স ও অ্যাকাউন্টেবিলিটির মধ্যে আসতে হবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে বাড়তি ব্যয়ের একটি ধাক্কা আসতে পারে।

তবে পরিস্থিতির আলোকে এসব কমপ্লায়েন্সের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের সামনে উজ্জল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

আর পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল আলাদা আলাদা নিয়মকানুন তৈরি করে তাদের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর বদলে ইউনিফাইড কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। তবে তাদের বেশিরভাগই মনে করছেন, আমদানিকারক দেশগুলোর এমন উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের উৎপাদনকারীদের জন্য বড় ধরনের কোনো সমস্যা তৈরি করবে না।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনটি বিশ্বব্যাপী পোশাক এবং পাদুকা তৈরি কোম্পানিগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে। যেসব কোম্পানির ১০০ মিলিয়নেরও বেশি রাজস্ব রয়েছে এবং যারা নিউইয়র্কে ব্যবসা করছে, এমন কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য হবে এটি।

এই ধরনের কোম্পানিগুলোকে তাদের সাপ্লাই চেইনের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ম্যাপ করতে হবে। ফার্ম থেকে শুরু করে যেখানে কারখানা এবং শিপিংয়ের মাধ্যমে কাঁচামাল উৎপন্ন হয়, সবখানে ম্যাপ করতে হবে তাদেরকে।

ন্যায্য মজুরি, শক্তি, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন, পানি এবং রাসায়নিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে কোন ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বেশি সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে তা প্রকাশ করতে হবে কোম্পানিগুলোকে। এসব প্রভাব, বিশেষ করে কার্বন নির্গমন কমানোর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে তাদেরকে।

সবশেষে, কোম্পানিগুলোকে তাদের পণ্য উৎপাদনের পরিমাণ প্রকাশ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, তারা কতটা তুলা বা চামড়া বা পলিয়েস্টার বিক্রি করে সেই তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি রুবানা হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এর মানে সরবরাহকারীদের ওপর চাপ বাড়বে।"

"বর্তমানে বিশ্বে সবক্ষেত্রেই রয়েছে দায়বদ্ধতা। সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। যতক্ষণ সস্তা পণ্যের খেলা চলছে, ততক্ষণ টেকসইতার দিকে ব্র্যান্ডগুলোর কোনও পদক্ষেপ অবহেলা করা হবে এবং সরবরাহকারীর উপর ফেলা চাপও বৃথা যাবে," তিনি মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, "পণ্যের ধরন অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে, মূল্যের কাঠামো আরও ভালোর দিকে সংশোধন করতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত টেকসই ব্যবসায়ী ব্যবস্থা অনুশীলনকারী কোম্পানিকে অবশ্যই টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে।"

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান মনে করেন, আইনটি পাশ হলে কী ধরণের ইমপ্যাক্ট বাংলাদেশের রপ্তানিতে আসে, তা কিছুদিন পর বুঝা যাবে। তিনি বলেন, "বড় ধরণের ইমপ্যাক্ট না হলেও খরচ বেড়ে যাবে।"
তিনি আরও বলেন, "কমপ্লায়েন্স বা এনভায়রনমেন্টাল বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে অনেক এগিয়েছি। বিশ্বের বেস্ট প্র্যাকটিস এবং গ্রিন কারখানা এখন বাংলাদেশে। গণহারে কেউ বলতে পারবে না, এখানে গুড প্র্যাকটিস নেই। যেসব জায়গায় ঘাটতি রয়েছে, আমরা সেখানে কাজ করছি।"

পোশাক খাতে এনভায়রনমেন্ট নিয়ে কাজ করেন, এমন একজন বিশেষজ্ঞ টিবিএসকে বলেন, বিভিন্ন দেশ এখন সাপ্লাই চেইনকে কমপ্লায়েন্ট করতে নতুন নতুন আইনকানুন নিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন দেশ তাদের নিজেদের মত করে নিয়মকানুন আনছে। এতে ঝামেলা এবং ব্যয় বাড়বে। কিন্তু বাড়তি ব্যয় কোত্থেকে আসবে, তার কোন মেকানিজম নেই। কেননা বায়াররা প্রতিনিয়ত কম দামে কিনতে চায়।

আবার একেক দেশ একেক নিয়ম নিয়ে আসায় জটিলতাও বাড়বে। তার চেয়ে বরং একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন আসা যৌক্তিক বলে মত দেন তিনি।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ডক্টর এম এ রাজ্জাক টিবিএসকে বলেন, "সাপ্লাই চেইনে যেসব দেশের ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা ভালো, তাদের জন্য এই নতুন আইন সমস্যা তৈরি করবে না। এখানকার সাপ্লাই চেইনের বড় একটি অংশের ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা কিংবা সুশাসনে দুর্বল থাকায় বাংলাদেশ এ দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। যথাযথ ডকুমেন্টশন থাকলে অনিয়মের সুযোগ কমে যায়।"

তবে এ ব্যবস্থায় এগিয়ে যেতে পারলে বাংলাদেশ অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়ে যাবে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলোকে ম্যাপিং নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য ১২ মাস সময় দেওয়া হবে (প্রভাব প্রকাশের জন্য দেওয়া হবে ১৮ মাস)। যদি তারা আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে তাদের বার্ষিক আয়ের ২ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এই জরিমানা পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগ পরিচালিত নতুন একটি তহবিলে চলে যাবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্পে তা ব্যবহৃত হবে। এছাড়া, নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল নন-কমপ্লায়েন্ট বা সম্মতি দেয়নি এমন কোম্পানিগুলোর একটি বার্ষিক তালিকাও প্রকাশ করবেন।

স্টেট সিনেটর আলেসান্দ্রা বিয়াগি এবং অ্যাসেম্বলিওম্যান অ্যানা আর কেলেসের স্পন্সর করা এ আইনটি বিশ্বব্যাপী পোশাক ও পাদুকা কোম্পানিগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে। এই কোম্পানিগুলো নিউইয়র্কে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবসা করছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী সিনেটর বিয়াগি এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এই আইনটি শ্রম, মানবাধিকার এবং পরিবেশগত সুরক্ষার দিকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করবে।"
 

 
সোর্সঃ 
THE BUSINESS STANDARD

বন্ডের অপব্যবহারেই কি নষ্ট হচ্ছে স্থানীয় পোশাক শিল্পের বাজার?

বন্ডের অপব্যবহারেই কি নষ্ট হচ্ছে স্থানীয় পোশাক শিল্পের বাজার?

বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে তৈরী পোশাক শিল্প। দেশের মোট প্রবৃদ্ধির ছয়-আট শতাংশ আসে এই সেক্টর থেকে। পোশাক শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে কাপড় (ফেব্রিক্স)। যখন দেশীয় টেক্সটাইল শিল্প ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাপড় সরবরাহ করতে পারে না, তখন প্রতিবেশী দেশগুলো (যেমন: ভারত, পাকিস্থান, চীন, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি) থেকে আমদানী করতে হয়। সরকারের আইন অনুযায়ী কোন পণ্য বিদেশ থেকে আমদানী করতে হলে সেই পন্যের উপর নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু তৈরী পোশাক শিল্পকে আরও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করার জন্য কাস্টমস বন্ডের মাধ্যমে শুল্কবিহীন পণ্য আমদানীর সুযোগ প্রদান করেছে। কিছু সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে শুল্ক ফ্রি আমদানীকৃত পণ্য স্থানীয় বাজারে স্বল্প মূল্যে ছেড়ে দিচ্ছে। এক দিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে স্থানীয় টেক্সটাইল শিল্প অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

আশির দশকে টেক্সটাইল শিল্প দেশীয় শিল্প হিসাবে যাত্রা শুরু করে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পার হবার পরে (নব্বই দশকের শুরুতে), সরকার বিশ্ব বাজারে এই দেশীয় শিল্পের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানী করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতেই রপ্তানীর পরিমানের উপর ভিত্তি করে টেক্সটাইল মালিকদেরকে ২৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। সরকার এই খাত থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং রপ্তানি শুল্ক ফিরিয়ে আনার সুবিধাগুলি প্রবর্তন করে এবং পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনে বন্ডের সুবিধা চালু করা হয়। এটা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য এই; যে ব্যবসা ২৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং এই খাতটি যখন পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হয়, নগদ প্রণোদনার হারও ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে বর্তমানে ৪ শতাংশে উপনীত হয়েছে। পোশাক শিল্পে সরকারের এই প্রণোদনা দেওয়ার পিছনে যুক্তিযুক্ত কারণও আছে। যখন কোন ব্যবসায়ী প্রতিবেশী দেশগুলি (যেমন ভারত, পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড ইত্যাদি) থেকে কোন পণ্য আমদানি করেন তখন পণ্যের মূল্যের সাথে তার কিছু অতিরিক্ত ব্যয়ও (উদাহরণঃ ব্যাংক চার্জ, পণ্যে গাড়ীতে উঠানো ও নামানো ইত্যাদি) হয়ে থাকে। যেহেতু বাংলাদেশের পোশাক শিল্প তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করে, সেহেতু এই সুবিধা প্রদান না করলে উক্ত প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। সরকার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফ্রি সুবিধা প্রদান করছেন। যেখানে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানীর উপর আনুমানিক ৪০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফ্রি করে দেওয়া হয়।

এটা অনুমান করা হয় যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ছোট বড় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার গার্মেন্টস আছে কিন্তু বিজিএমইএ অধীনে নিবন্ধনকৃত গার্মেন্টস এর সংখ্যা পঁচিশ শত থেকে তিন হাজার। সুতরাং বাকি গার্মেন্টসের কোন কাগজপত্র না থাকা সত্বেও তারা তাদের কার্যক্রম পরিচলনা করে যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই, কিছু বৈধ ও অবৈধ গার্মেন্টস এবং অল্প সংখ্যক টেক্সটাইল মিল আছে, যারা সরকারের প্রদত্ত বন্ড সুবিধাকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে মুনাফা উপার্জন করছে এবং দেশীয় শিল্পকে হুমকির মুখে পতিত করছে।
আইন অনুযায়ী বন্ডের লাইসেন্স ব্যবহারের এর প্রধান শর্ত হল বন্ডের পণ্য রপ্তানী ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু আইনে এটাও উল্লেখ আছে, যদি কোন ব্যবসায়ী বন্ডের মালামাল সামগ্রী স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে চায় (সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ), সেক্ষেত্রে বন্ড কমিশনারেট থেকে অনুমতি পত্র সংগ্রহ এবং বাণিজ্যিক শুল্ক প্রদান করতে হবে। এই আইন লংঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের যথাযথ আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার এখতিয়ার রয়েছে। বর্তমানে কিছু সংখ্যক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আইনকে তোয়াক্কা না করেই তাদের আমদানীকৃত বন্ডের কাপড় খোলা বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে এবং একটি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পক্ষান্তরে, দেশীয় টেক্সটাইল শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, কারণ বন্ডের কাপড় শুল্কমুক্ত হওয়ায় এর বাজারদর তুলনামূলক কম। এজন্য স্থানীয় টেক্সটাইল শিল্প তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না এবং প্রতিযোগীতামূলক বাজারে ক্রমান্বয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ্ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোয়াজ বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন যৌথভাবে ডিপার্টমেন্ট অফ্ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিফিড) এর অর্থায়নে বাংলাদেশের কাস্টমস বন্ডের অপব্যবহার শীর্ষক গবেষণাকর্মটি পরিচলনা করছে। বন্ডের মালামাল স্থানীয় বাজারে প্রবেশের ফলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি স্থানীয় টেক্সটাইল শিল্প অস্তিত্বহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে। এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল কাস্টমস শুল্কের হার কমিয়ে বন্ডের অপব্যবহার হ্রাস করা এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় টেক্সটাইল শিল্পকে রক্ষা করা। গবেষণায় দেখা যায় যে, বন্ডের অপব্যবহার এমন একটি জটিল প্রক্রিয়া যা ক্রেতার অর্ডার থেকে শুরু করে পণ্য বিপণনের আগমুহূর্ত পর্যন্ত হইতে পারে। বন্ডের এই অপব্যবহার মূলত দুইভাবে হয়ে থাকে যথা: বৈধ পথে এবং অবৈধ পথে। বৈধ পথ বলতে গার্মেন্টস মালিক ক্রেতার অর্ডারের উপর ভিত্তি করে সকল অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পন্ন করবে কিন্তু তার মধ্যে কোন এক জায়গায় অর্থের লোভে আকৃষ্ট হয়ে এই সূক্ষ্ম অপকর্মটি করে থাকে।

এক, বিদেশী ক্রেতার অর্ডারের উপর ভিত্তি করে বিজিএমইএ ইউটিলাইজেশন ডিক্লিয়ারেশন (ইউডি) ইস্যু করে এবং ঐ ইউডির বিপরীতে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) দিয়ে থাকেন। এই ইউপি ব্যবসায়ীকে বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আনতে সাহায্য করে। বিজিএমইএ ইউডি ইস্যু করার সময় ঐসকল অসৎ ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কাপড় আনার জন্য চাহিদা পত্র দিয়ে থাকে। উদাহরন: একটি শার্টের জন্য ১ মিটার কাপড় প্রয়োজন কিন্তু তিনি তার চাহিদা পত্রে ১.২০ মিটার কাপড় প্রয়োজন উল্লেখ করেন। যদি তার অর্ডার এক লক্ষ শার্টের জন্য হয়ে থাকে তাহলে বিশ হাজার শার্টের কাপড় অতিরিক্ত নিয়ে আসবে। বিশ হাজার শার্টের কাপড় যেহেতু শুল্কমুক্ত এবং স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা থাকার কারণে উক্ত কাপড় ইসলামপুরের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হবে।

দুই, গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানী করে হরমোনাইজড সিস্টেম (এইচএস) কোডের মাধ্যমে। অনেকসময় ইউডিতে ইস্যুকৃত এইচএস কোডের কাপড়ের পরিবর্তে অন্য এইচএস কোডের কাপড় নিয়ে আসে। যেমন, ইউডিতে ৫০ কাউন্ট সুতার কাপড় নিয়ে আসার কথা উল্লেখ থাকা স্বত্বেও ৮০ কাউন্ট সুতার কাপড় নিয়ে আসে। সাধারণত সুতার কাউন্ট যত বেশী কাপড়ের মূল্য তত বেশী হবে। সেই হিসাবে ৮০ কাউন্ট সুতার মূল্য ৫০ কাউন্ট সুতার তুলনায় বহুগুণ।

তিন, বিদেশ থেকে আমদানীকৃত কাপড়গুলো পরিমাপ করা হয় কেজিতে। সেক্ষেত্রে কাপড় যত মিহি (চিকন সুতা) হবে ওজনও তত কম হবে। উদাহরণঃ যদি এক কেজিতে দুইটি প্যান্টের কাপড় হয়, সেখানে সমপরিমাণ ওজনে ১০টি থ্রি-পিসের কাপড় পাওয়া যায়। বর্তমান বাজার মূল্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্যান্টের কাপড়ের তুলনায় থ্রি-পিসের মূল্য অনেক বেশী।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এর মতে ১৩০টি গার্মেন্টস মালিকেরা এই কাজে সম্পর্কিত। বিটিএমএ এর সদস্যরা দেশের প্রাইমারী টেক্সটাইল সেক্টরে প্রায় ৭০ হাজার কোটি বিনিয়োগ করেছে এবং দেশের পোষাক শিল্পের প্রয়োজনীয় ইয়ার্ণ ও ফেব্রিকের সিংহভাগ যোগান দেওয়া ছাড়াও দেশের মানুষের ব্যবহারের জন্য কাপড় সমানভাবে যোগান দিয়ে যাচ্ছে। বিটিএমএ এর মতে দেশের স্থানীয় টেক্সটাইলের বাজারটি প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকার। কিন্তু এই বাজারটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বন্ডেড ওয়্যার হাউজের মাধ্যমে নিয়ে আসা অবৈধ বিদেশী কাপড়ে। তাদের মতে, বছরে প্রায় আট-দশ লাখের বেশী থ্রী-পিস, বিপুল পরিমান শাড়ী, শার্ট-প্যান্টের কাপড়সহ অনান্য বস্ত্র সামগ্রী বিভিন্ন পথে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। বিশেষ করে ভ্রমণ ভিসা (নিউ মার্কেটের দোকানদাররা, অনলাইন শপিং পেজ, ঈদের শপিং), সীমান্ত হাট এবং আন্ত:সীমান্ত চোরাকারবারীর মাধ্যমেই বেশি ফেব্রিক্স আসে।

পোশাক শিল্পের মালিকরা বন্ড লাইসেন্স এর মাধ্যমে যে কাপড় আমদানী করে তা দুই বছরের জন্য তাদের নিজস্ব কারখানায় সঞ্চয় করে রাখতে পারে। বন্ড কমিশনারেট প্রতি বছর নিরীক্ষণের মাধ্যমে উক্ত পোশাক শিল্পের ক্রেতার অর্ডারের সাথে মজুতকৃত কাঁচামালের হিসাব মিলিয়ে থাকেন। যদি অর্ডার এবং সঞ্চয়ের মধ্যে কোন ব্যত্যয় ঘটলে সাথে সাথেই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। উল্লেখ্য যে, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ৭৬টি গার্মেন্টস কে চিহ্নিত করেছে, যারা এই অসৎ কাজে জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, অনেক পোশাক শিল্পকে চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের অবকাঠামোগত কোন অস্তিত্ব নেই কিন্তু কাগজ-কলমে তা সক্রিয়। এক্ষেত্রে তাদের বন্ড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বড় পাইকারি কাপড়ের বাজারগুলোর মধ্যে ঢাকার ইসলামপুর, নরসিংদীর মাধবদী, এবং নারায়ণগঞ্জের টান বাজার অন্যতম। কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট পোশাক শিল্পের পাশাপাশি এই সকল বাজারেও বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করেন। সাম্প্রতিক অভিযানসমূহ কিছুটা হলেও দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরী করছে। পুলিশের সহায়তায় বন্ড কমিশনারেট প্রতিনিয়ত ইসলামপুরে অভিযান পরিচলনা করছে এবং বন্ডে আসা কাপড়ের ট্রাক জব্দ করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কাপড় ব্যবসায়ী সমিতিও তাদের মাসিক মিটিং এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে যে কোন ব্যবসায়ী বন্ডের অবৈধ মালামাল বিক্রি করতে পারবেনা। আর ইহার ব্যত্যয় ঘটলে মালিক সমিতি তার কোন দায়িত্ব নিবে না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত বাণিজ্যিকভাবে আমদানীকৃত পণ্যের শুল্কহার কমিয়ে দেওয়া, যাতে বন্ডের অপব্যবহার কমে। কারণ আমদানীকৃত পণ্যের শুল্ক তুলনামূলক কম হলে কাপড় ব্যবসায়ীরা বন্ডের কাপড় বিক্রয় করবে না, এতে তাদের ব্যবসায়িক মূলধন হারানোর ঝুঁকি অনেক বেশী। তাই সরকারের উচিত গবেষণার মাধ্যমে এই শুল্ক নীতিমালা পুনরায় প্রনায়ন করা। তাহলে, সরকার একদিকে যেমন এই সেক্টর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারবে, অন্য দিকে দেশীয় শিল্পকেও রক্ষা করা সম্ভব হবে।

রায়হান আহমেদ: ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ্ গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কর্মরত। নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব, প্রতিষ্ঠানের নয়। 

গবেষণাটি করা হয়েছে এন্টি করাপশন এভিডেন্স (এইস) সমষ্টির অংশ হিসেবে, সওয়াস-এইস-এর অর্থায়নে।

Sunday, 2 January 2022

ভারতীয়রা টিকে থাকে আর বাঙ্গালিরা চলে যায়?

মার্চেন্ডাইজারের জবানবন্দি-৩
লেখক ঃ ফারহাদ খান

কেন ভারতীয়রা টিকে থাকে আর বাঙ্গালিরা চলে যায়?

আমি LI & FUNG ছাড়ি ২০১৪ এর মাঝামাঝিতে। 

২০১০ এ যখন জয়েন করি তখন LI & FUNG এর রমরমা অবস্থা। অনেক নতুন বায়ার LI & FUNG এর সাথে যুক্ত হচ্ছিল, অনেক নতুন মুখ, দারুন সময় কাটছিল। আমি মোটামুটি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে কোন চিন্তাই করছিলাম না। অনায়াসেই ১০/২০ বছর এখানে কাটিয়ে দিব বলে ঠিক করেছিলাম। 

২০১৩ তে এসে আমি দেখলাম বেশ কিছু ডিপার্টমেন্ট এর বড় পদে কিছু লোকের চাকরী নেই। আর তারাও ভাল কোন কোম্পানিতে যুক্ত হতে পারেনি। কারণ LI & FUNG এর মত ভাল বিদেশী প্রতিষ্ঠান তো আর অনেক নেই। বাধ্য হয়ে তারা বিভিন্ন ফ্যাক্টরি বা ছোট বায়িং হাউজে জয়েন করে। 

এসব দেখে তখন থেকেই আমার মাথায় চিন্তা ভর করে যে, এক সময় তো আমারও এমন অবস্থা হতে পারে। তখন কি চাইলেই যে কোন জায়গায় চাকরী পাব। কারণ উপরের লেভেলের চাকরী তো আর সবসময় ওপেন থাকে না। যাই হোক।

২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমি চাকরীর পাশাপাশি ব্যবসা শিখার ও করার সিদ্ধান্ত নেই যা আজকে আমাকে একটা অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
ফিরে আসি মূল প্রসঙ্গে। ২০১৫ থেকে LI & FUNG তার ব্যবসায়িক কৌশলে ব্যাপক পরিবর্তন আনে ।এর প্রেক্ষিতে অনেকেরই চাকরী চলে যায়।
সর্বশেষ ২০২০ এর শেষে অনেককে ছাঁটাই করা হয় যার মদ্ধ্যে অনেক পুরনো চাকরিজীবী ছিল যাদের সাথে আমার অনেক পরিচয় ছিল।
কিছুদিন আগে আমি কোন একটা কাজে LI & FUNG এর নিচে গেলে অনেক ভারতীয়র সাথে দেখা হয় যারা সেই ২০১০ থেকে এখন অব্ধি কাজ করে যাচ্ছে। আমি অবাক হয়ে ভাবি, আমার দেশি ভাইয়েরা টিকতে পারে না, অথচ এই ভারতীয়রা দিব্যি কিভাবে টিকে আছে? 

হ্যাঁ, অনেকে বলতে পারে ভাই, LI & FUNG তো এখন ভারত থেকেই পরিচালিত হয়, তো সেজন্যই ভারতীয়রা টিকে আছে। কথাটা কতটুকু সঠিক জানিনা। কিন্তু আমার মতে আমাদের থেকে ভারতীয়রা অনেক জায়গায় এগিয়ে আছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলোর কারণে আমাদের লোকাল প্রতিষ্ঠানগুলোও ভারতীয়দের বড় পদে নিয়োগ দেয়।

১ নং কারণ, 𝐒𝐌𝐀𝐑𝐓 𝐁𝐔𝐒𝐈𝐍𝐄𝐒𝐒 𝐂𝐎𝐌𝐌𝐔𝐍𝐈𝐂𝐀𝐓𝐈𝐎𝐍 𝐚𝐧𝐝 𝐏𝐑𝐄𝐒𝐄𝐍𝐓𝐀𝐓𝐈𝐎𝐍: এক্ষেত্রে ভারতীয়রা নাম্বার ওয়ান!!! তারা আপনাকে এমনভাবে প্রেজেন্ট করবে আর এত আন্তরিকতার সাথে যে আপনি না গলে পারবেননা। আমি এমনও দেখেছি পুরো বিজনেস আর ডিজাইন টিম নিয়ে তারা ইউরোপ চলে গিয়েছে যাতে বায়ারের যে কোন প্রয়োজনীয়তা সঙ্গে সঙ্গে ফিডব্যাক দেওয়া যায়। 
এই জায়গাতে আমাদের বাঙালি মালিকরা কিপ্টার কিপ্টা। তারা দুই থেকে তিন জন উপরের লেভেলের লোক ভ্রমণ করে আর বায়ার কিছু বললে বলে, LET ME CHECK. এরপর দেশে এসে খেয়াল না করিয়ে দিলে তো আর কথাই নেই।  

২ নং কারণ, 𝐒𝐄𝐋𝐅 𝐂𝐎𝐍𝐅𝐈𝐃𝐄𝐍𝐂𝐄: যে কোন অভিযোগ বা পরিস্থিতি বা অনুরোধ, ভারতীয়রা পারুক বা না পারুক, সেটা অত্যন্ত প্রফেসনালি সামলিয়ে নেয়। আত্মবিশ্বাসের জায়গাতে তারা অত্যন্ত দৃঢ়। 

সর্বশেষ, 𝐅𝐎𝐂𝐔𝐒𝐄𝐃, 𝐖𝐄𝐋𝐋 𝐏𝐋𝐀𝐍𝐍𝐄𝐃 𝐚𝐧𝐝 𝐖𝐄𝐋𝐋 𝐄𝐃𝐔𝐂𝐀𝐓𝐄𝐃: ভারতীয়রা সবসময় চিন্তা করে কিভাবে আরও দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ হয়ে ধীরে ধীরে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সাম্প্রতিক অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানির বড় বড় পদে ভারতীয়দের পদচারণা তাই-ই প্রমাণ করে। ওরা যেখানে LEADER পাঠায় সেখানে আমরা LABOUR পাঠিয়েই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি। দিনশেষে ওরা লিডারের দেশের মানুষ আর আমরা লেবারের দেশের মানুষ। তফাৎটা কিন্তু বিশাল।

তাই আসুন, সময় এসেছে নিজেদের নিয়ে নতুন করে ভাবার, নতুন করে গড়ার। 

𝗟𝗘𝗦𝗦 𝗘𝗫𝗖𝗨𝗦𝗘, 𝗠𝗢𝗥𝗘 𝗧𝗥𝗔𝗜𝗡𝗜𝗡𝗚, 𝗠𝗢𝗥𝗘 𝗡𝗘𝗧𝗪𝗢𝗥𝗞𝗜𝗡𝗚✊