মাইক্রোসফট কর্তৃক আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে নোকিয়ার সি.ই.ও উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এবং বকৃতার এক পর্যায়ে নোকিয়া সকল ম্যানেজমেন্ট স্টাফ নীরব কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নোকিয়া ব্র্যান্ডকে নতুন করে চিনিয়ে দেওয়ার কোন দরকার নেই। এক সময় টেলিকমিউনিকেশনের রাজত্বে একক আধিপত্য বিস্তারকারী নোকিয়া কোম্পানি এখন বিলুপ্তির পথে। তাদের তৈরি বাটন সেট মিলিয়ন মিলিয়ন পিস বিক্রি হয়েছে আজ থেকে ৮-১০ বছর আগেও। তাহলে কি এমন হোল যে, এতবড় জায়ান্ট সেলফোন প্রডিউসিং ব্র্যান্ড হঠাৎ করে মুখ থুবড়ে পড়ল?
মুল সমস্যা ছিল প্রযুক্তিকে এডোপ্ট করা। আপনি ভাবছেন আপনার প্রোডাক্ট এনালগ হলেও গুনগত মান অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য থেকে ভাল তাই আপনি একাই মার্কেটে রাজ কর্মতে পারবেন। এটা ভুল। মানুষ আধুনিকতা পছন্দ করে। মানুষ এখন স্পিড পছন্দ করে। চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সিকিউর হলেও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে মানুষ এখন আর চিঠি আদান প্রদান করেনা। ইমেইলেই কাজ করে। কারণ এটা ফাস্ট। নোকিয়া ঠিক এই ভুলটাই করেছে। তারা চিঠির যুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি ঠিক সময়। অর্থাৎ যেখানে অন্যান্য ব্র্যান্ড বিশেষ করে আইফোন , স্যামসাং অলরেডি এনড্রোয়েড ফোন বাজারে নিয়ে এসেছে সেখানে নোকিয়া মাইক্রোসফটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তার লুমিয়া সেটকে আইওএস এনড্রোয়েড করার পরিবর্তে মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেমেই রেখে দিয়েছি।
পরিশেষে আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কিছু এড করতে চাই। আমরাও যদি নতুন নতুন প্রযুক্তি এপ্লাই করার পরিবর্তে পুরাতন প্র্যাকটিস এবং ধ্যান ধারনা নিয়ে আমাদের ফ্যাক্টরি রান করাতে চাই আমাদেরকেও এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে হবে। এখন বিজনেসের স্ট্র্যাটিজি আর প্রফিট বেজ না। এখন স্ট্র্যাটিজি কস্ট বেজ। অর্থাৎ আপনি প্রডিউসিং কস্ট যত কম করবেন তত বেশী প্রফিট পাবেন। কস্টের উপর ভিত্তি করে আপনার প্রফিট মার্জিন দাঁড় করাতে হবে।
প্রতিনিয়ত নিজেকে ডেভেলপ করতে হবে নতুন নতুন জিনিস শেখার মাধ্যমে। বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপ করুন। সফট স্কিল, হার্ড স্কিল যেকোন স্কিল অর্জন করতে থাকুন এবং এটা কন্টিনিউয়াশলি। থেমে যাওয়া যাবেনা। লীনের কোর্স করুন, সিগমার কোর্স করুন, জিএসডি করুন, এক্সেলের কোর্স করুন । এক কথায় শিখতেই থাকুন।
No comments:
Post a Comment