Monday, 31 May 2021

সেলাই_সুতা (sewing threads)

#সেলাই_সুতা (sewing threads) 

১.সেলাই সুতার সংজ্ঞা কি?
২.সুতার উৎস কি?
৩.কিভাবে সুতা তৈরি করা হয়?
৪.বিভিন্ন ধরনের সুতার নাম।

✡️ ১. #সেলাই সুতা : পোশাক তৈরির জন্য সেলাই সুতা একটি অপরিহার্য উপাদান । পোশাক প্রস্তুত করার জন্য এবং পোশাকের সাথে সর্ম্পকযুক্ত যে কোন কাপড় সেলাই করার জন্য যে সুতা বা থ্রেড ব্যাবহার করা হয়,তাকেই সেলাই সুতা বলা হয়।

🌻 ২.......#সুতার_উৎস_ কি ? 
=>সুতার উৎস হলো ফাইবার বা আঁশ।

এই ফাইবার এর উৎস উপর ভিত্তি করে সুতার বিভিন্ন প্রকারভেদ এবং সুতার নাম বিভিন্ন রকম। 
🔰প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম। 
প্রকৃতিগত ভাবে ফাইবার গুলো প্রধানতঃউদ্ভিদ ও প্রাণী হতে আসে। যেমনঃকটন উদ্ভিদজাত উৎস হতে আসে আর উল প্রাণিজ উৎস হতে আসে। অন্যান্য প্রকৃতিক ফাইবারের মধ্যে , 
🔰Linen thread 
🔰silk thread, 
🔰cotton thread, 
🔰viscose thread ইত্যাদি বহুল ব্যবহ্ত হয়।

#কৃত্রিম_ফাইবারের 
কৃত্রিম ফাইবার প্রধান উৎস হলো বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রবাদি।
কৃত্রিম ফাইবারগুলো হলো
🔰1.polyester thread
🔰2.Nylon thread
🔰3.Aramide thread
🔰4. PTFE thread ( poly tetra fluro ethylene) 

৩......#সুতা _তৈরির_প্রক্রিয়া  

⭐কিভাবে সুতা তৈরি করা হয়?🤔

⭐সুতার প্রকারভেদ বা বিভিন্ন সুতার নাম অনুযায়ি বিভিন্ন সুতার উৎপাদন প্রক্রিয়া বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সুতা কিভাবে তৈরি হয় তা জানার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইয়ার্ন সম্পর্কে, ইয়ার্ন কাকে বলে এবং কিভাবে তৈরি হয়। টেক্সটাইল জগতের উৎপাদন চেইনের প্রথম ধাপ হচ্ছে ফাইবার। তার পরের ধাপই হল ইয়ার্ন। এই ইয়ার্নকে বুনন বা উইভিং এর মাধ্যমেই কাপড় বা ফেব্রিক তৈরি হয়। ইয়ার্ন একাধিক ফাইবারের সমন্বয়ে গঠিত যা ‍স্পিনিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। আবার দুই বা ততোধিক ইয়ার্ন এর সমন্বয়েই সুতা তৈরি হয় যা বিভিন্ন প্রকার সেলাই কার্যে ব্যবহৃত হয়.....!!

৪.......#বিভিন্ন_ধরনের_সুতার_নাম

🌻 =>১.লিলেন সুতাঃ
লিলেন সুতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও কিছুটা শক্ত প্রকৃতির হয়।ইহা সাধারণত গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহ্ত হয়।
তাঁবু,ক্যানভাস, জুতা তৈরিতে & সেলাই করে বোতাম লাগানোর জন্য এক সময়ে বহুলভাবে ব্যবহৃত হতো, কিন্তু বর্তমানে কৃত্রিম সুতা ব্যবহৃত হয়।

🌻 ২.সিল্ক সুতা 
সিল্ক বা রেশম একটি প্রাকৃতিক ফিলামেন্ট ফাইবার & এতে প্রাকৃতিক মসৃণতা বিদ্যমান ।
এই সুতা অধিকতর শক্ত এবং উন্নতমানের সুতা।

🌸৩.কটন সুতাঃ
প্রাকৃতিক আঁশ হতে উৎপন্ন সেলাই সুতার মধ্যে কটন থ্রেড সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয় & ব্যবহৃত হয়। সাধারণ উন্নত মানের কটন ফাইবার হতেই কটন থ্রেড তৈরি করা হয়। এর আদ্রর্তা ধারণক্ষমতা শতকরা ৮.৫ ভাগ।

➡️ কটন সুতা আবার ৩ প্রকার। যথা:
1.soft cotton thread
2.Mercerized cotton thread
3.Glanced cotton thread

🏵️৪.পলিস্টার সুতাঃএই সুতা কম দামি এবং 🏵️শক্তিশালী , ইলাস্টিক ধর্ম বেশ সুবিধাজনক ও রং পাকা বিধায় বহুল পরিমাণে পোশাকে তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে।
কম দামি হওয়ায় খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহ্ত হয়।

🌺৫.নাইলন সুতাঃ
নাইলন সুতা খুব শক্ত ও টেকসই হয়।এটি হালকা,মসৃন এবং পানি শোষণ করতে পারে না।
সম্প্রসারিত সীম, নিটেড কাপড়, সাঁতারের কাপড় (swim wear) সেলাই করার জন্য এই সুতা ব্যবহার করা হয়।

🌻৬.রেয়ন সুতাঃ
একব্রডারি কাজে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহ্ত সুতার নাম হলো রেয়ন।উচ্চ গতির এমব্রয়ডারি মেশিনে ব্যবহারের সময় রেয়ন সুতার ছিড়ে যাওয়ার হার খুব কম তাই সেলাই খুব ভালো হয় । এর সুতার দাম কম হওয়ায় সিল্কের বিকল্প হিসেবে ব্যবহ্ত হয়।

🏵️৭.উলের সুতাঃ
সাধারণত প্রাণির লোম থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সুতা উৎপাদন করা হয়। এই সুতা একাধিক ফাইবারের সমন্বয় করে তৈরি করা হয়। বিশেষ করে শীতকালীন পোশাক ও কম্বল তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এমব্রয়ডারির কাজের ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার রয়েছে।

আমার লিখা ১ম আর্টিকেল, তাই অনুগ্রহ করে ভুল ত্রুটি হলে কমেন্টে জানাবেন। 
পরবর্তী আর্টিকেলে সংশোধন করার জন্য। 

#Writer

Mayeen Uddin

Thursday, 27 May 2021

বাংলাদেশের আরেকটি অপূর্ব স্থাপনা রংপুর কারুপণ্য গ্রীন ফ্যাক্টরি।

বাংলাদেশের আরেকটি অপূর্ব স্থাপনা রংপুর কারুপণ্য গ্রীন ফ্যাক্টরি। এখানে প্রায় ৭০০০ শ্রমিক কাজ করেন, যার ৮০ শতাংশই নারী। উৎপাদন করেন দেশের ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি। এখানে নেই কোন ইলেক্ট্রিক ফ্যান বা এসি। স্থাপনাটা এমন ভাবে করা হয়েছে যে, ন্যাচারাল বাতাস এবং পানির প্রবাহকে শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় এখানকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তীব্র গরমেও ১৮ ডিগ্রীর বেশি তাপমাত্রা এখানে হয় না। 

প্রচুর গাছ দিয়ে পুরো স্থাপত্যটির শরীর জুড়ে দেওয়া হয়েছে যেন তা সারাবছর প্রচুর অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে এবং তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায় রাখতে পারে। 

স্থপতি: Bayejid Mahbub Khondker 

Let's have a look 
 
লেখা : Annando Kutum

Wednesday, 26 May 2021

Fashion round neck half sleeve T-shirt men's cotton, summer collection

Round neck half sleeve T-shirt men's cotton, summer collection 

👉 https://s.click.aliexpress.com/e/_9gaVmP


Fashion Half Short Sleeves Fashion O NECK Print T-shirt Men's Cotton 2021 Summer Clothes TOP TEES Tshirt Plus Asian Size M-5X.




https://s.click.aliexpress.com/e/_AD8tsT


Sunday, 23 May 2021

প্রাইভেট কোম্পানি গুলা কেমন কর্মী খুজে।

#প্রাইভেট_কোম্পানি_গুলা_কেমন_কর্মী_খুজে। 

অনেকেরই ধারনা, প্রাইভেট জবে, ইন্টারভিউতে প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক জবাব ঠাস ঠাস করে, গড়গড় করে বলে দিতে পারলেই শুধুমাত্র চাকরি হয়। 
১টা বা ২টা প্রশ্নের উত্তর না জানলেও তাই চাকরিপ্রার্থীরা ঘামতে থাকেন। 

তাহলে প্রাইভেট চাকরি আসলে কাদের খোঁজে?

না, সবজান্তা সমশের বা মহাজ্ঞানী আইনস্টাইনকে প্রাইভেট জব খোঁজে না। বরং বলা চলে, প্রাইভেট জব আইনস্টাইন নয়, বরং স্টিভ জবস, জাকারবার্গ বা এলন মাস্কদের খোঁজে। 

তাদের খোঁজে, যিনি বা যারা-

কিছু জানেন, কিছু জানেন না-কিন্তু যেটা জানেন না, সেটার জন্য আফসোস বোধ করেন আর সেটা জানবার জন্য সর্বোচ্চ আগ্রহ বোধ করেন। 

কিছু জানেন, কিছু জানেন না-কিন্তু যেটা জানেন না, সেটা জানবার সবরকম বুদ্ধি ও দক্ষতা তার আছে। অর্থাৎ, অজানা বা না পারা বিষয় জগত এক্সপ্লোর করে নিজের ভিতরে নিয়ে আসার যাবতীয় যোগ্যতা ও ডেসপারেশন যার ভিতরে আছে। 

কিছু পারেন, কিছু পারেন না-কিন্তু দুই অংশেই সেটা দিয়ে টীমকে চালাতে পারেন, গ্যাপকে আন্তরিকতা ও এফোর্ট দিয়ে মেক আপ করতে পারেন। 

মোটের ওপর প্রাইভেট সবসময় বুদ্ধিমান, আত্মবিশ্বাসী, শার্প, আন্তরিক, চটপটে, ভিশনারী, উদ্যমী, টীমমেকার, ডাইনামিক, অনুসন্ধিৎসু, স্মার্ট ও ফাস্ট মানুষকে বেশি প্রায়োরিটি দেয়। প্রাইভেট ইন্টারভিউয়ের যত যত প্রসেস, তার সবগুলোই ওরকম মানুষ খুঁজে বের করার লক্ষ্য মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়।

 খেয়াল রাখবেন, প্রায়োরিটি বলেছি, এবসলুট বলিনি।
written by :Md walidur Rahma Biddut 

Saturday, 8 May 2021

"পোশাক তৈরির স্বর্গরাজ্য বাংলাদেশ" Made in Bangladesh

© Habibur Rahman 
Smart Factory 4.0 Consultant for Textile Apparel Industries.

প্রস্তাবনাঃ ৫১ , ব্র্যান্ডিং অব বাংলাদেশ। 

আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেন, বিজনেস এর স্বর্গরাজ্য খ্যাত দুবাই এখনো সোশ্যাল মিডিয়াতে যেভাবে অনবরত নিজের দেশের ব্যবসার সুযোগ সুবিধা, সাফল্য গাঁথা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে যে সকল দুর্দান্ত ভিডিও প্রদর্শন করতেই থাকে, তা থেকে আমাদের শেখার অনেক কিছু আছে।  

আমাদের দেশের ব্যাবসা বান্ধব পরিবেশ, সুযোগ সুবিধা ও সাফল্যগাঁথার সঠিক ব্র্যান্ডিং আমাদের সরকার, বিজিএমইএ, বেপজা, বেজা, ইপিবি, অথবা নামকরা কোন কোম্পানী এখনো করতে পারেনি।  

কান্ট্রি ব্যান্ডিংয়ে আমরা যতদিন পিছিয়ে থাকবো, আমাদের অগ্রযাত্রা ততই বিলম্বিত হবে। 

সিঙ্গাপুরঃ স্টেট অব দ্যা আর্ট টেকনোলজি। 
থাইল্যান্ডঃ ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা। 
মালয়েশিয়াঃ ট্রুলি এশিয়া। নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের সমাহার। 
দক্ষিণ কোরিয়াঃ ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইলেক্ট্রনিক্স। 
ভিয়েতনামঃ ট্যুরিজম, গার্মেন্টস ও নতুন চায়না। 

আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিং হয়েছে বন্যা, জলোচ্ছাস, দুর্নীতি, স্বস্তা শ্রম এবং 
রানা প্লাজা কে নিয়ে। 
 
স্বস্তা শ্রম ও রানা প্লাজা ব্যান্ডিং এর জন্য সকল টিভি মিডিয়া, অতি উৎসাহী ফেসবুক ব্যবহারকারীগণ, সংবাদপত্র আর আমাদের মূর্খতা দায়ী। এখন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সার্চ দিলে প্রথমে রানা প্লাজার ছবি উঠে আসে। 

"পোশাক তৈরির স্বর্গরাজ্য বাংলাদেশ" 
প্রত্যেকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ব্র্যান্ডিং যতদিন পর্যন্ত আমরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে না পারবো ততদিন আমাদের নিঃষ্পেষিত হতে হবে।   

#bangladesh 

প্রত্যেক গার্মেন্টস শ্রমিকই সময়ের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যোদ্ধা। বুঝতে হবে যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরাতে পারে, তারা পৃথিবীর যেকোনো পরিস্থিতিতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে।এখনো কোনো টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠান ছুটি হয়নি। # তবে কেন ফেরিঘাটে এত মানুষের ঢল? # তাহলে এরা কারা?# নাকি, নৌপথ- স্থলপথ বন্ধ করে এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ সমাধান?

প্রত্যেক গার্মেন্টস শ্রমিকই সময়ের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যোদ্ধা। বুঝতে হবে যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরাতে পারে, তারা পৃথিবীর যেকোনো পরিস্থিতিতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে।
এখনো কোনো টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠান ছুটি হয়নি। 

# তবে কেন ফেরিঘাটে এত মানুষের ঢল? 
# তাহলে এরা কারা?
# নাকি, নৌপথ- স্থলপথ বন্ধ করে এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ সমাধান?

পোশাক শ্রমিক ভাইয়েরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অর্থনৈতিক সচল রাখতে পারে, তবে সেই সাথে দেশের প্রশাসন যদি স্বাস্থ্যবিধি মানিয়ে সবকিছু সচল রাখতো তাহলে দেশের অগ্রগতির আরও একটু ভালো হতো।

# নাকি, যাদের আয়ে পুরো বাংলাদেশে চলে, কখনোই মূল্যায়ন করা হবে না?

Wednesday, 5 May 2021

গার্মেন্টস শ্রমিক ও কর্মকর্তা বনাম আমলারা(দেশের সোনার হরিন) Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ১০

গার্মেন্টস শ্রমিক ও কর্মকর্তা বনাম আমলারা(দেশের সোনার হরিন)

১.দৈনিক কর্মঘন্টা সর্বনিম্ন ১২ ঘন্টা আর আমলাদের সর্বোচ্চ ৮ঘন্টা।
২.সাপ্তাহিক ছুটি ১দিন তাও বেশীরভাগ সময় সেই ছুটির দিনেও ডিউটি করতে হয় আর আমলাদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন।
৩.শারীরিক ও মানসিক কষ্ট করেও মাস শেষে বেতন আসে ১০ তারিখে কোনো কোনো মালিকতো বকেয়াই রেখে দেয় আর আমলারা মাস শুরুর ১ বা ২ তারিখে বেতন পকেটে।
৪.বাংলাদেশের শ্রম আইনে উল্লেখ আছে বাৎসরিক উৎসবভাতা প্রদান করিতে হইবে কত পারসেন্ট তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় কোনো কোনো মালিক নামমাত্র বোনাস প্রদান করেন যা সম্পূর্ণ জোচ্চুরি।আর আমলারা বোনাস পায় শতভাগ আরো অন্যান্য।
৫.কাপড়ের ময়লা ধূলাবালি খেয়েও হজম করে কাজ চালায় শ্রমিকরা জীবিকার আশায় করোণাতো কিছুই না যা তারা বছরে বছরে সহ্য করে আসছে তবুও কেনো এদের জীবন নিয়ে এতো খেলা এতো সিন্ডিকেট?!! আর আমলারা নাকে তেল দিয়ে ঘুষ খায়।
৬.পূজিবাদী,পা চাটা কুত্তা গার্মেন্টস মালিকরা তৈয়ার রাখে যে কোন পরিস্থিতি সামাল দিতে যাতে করে শ্রমের প্রকৃত মূল্য না দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি হতে পারে আর আমলারা শ্রমিকের কষ্টের ফসল খায়।

#We_fuck_GDP
#Need_solution_for_remittance_fighters

Tuesday, 4 May 2021

ভাল তো,লকডাউনের নামে একদিকে কিছু সরকারি দপ্তরে সারামাস ব্যাপী চলছে ছুটির আমেজ আর ঘরে বসে থেকে পাচ্ছে বেতন,ঈদ বোনাস,বৈশাখি ভাতা সব! অন্যদিকে মহামারির মধ্যেও প্রতিদিন অফিস করে, ঈদের ছুটির এডজাস্টমেন্ট হিসেবে রোজার মধ্যে প্রতিটি শুক্রবার ডিউটি করে শিল্পখাতে কর্মরত প্রতিটি শ্রমিক,কর্মচারী, কর্মকর্তার পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ শেয়ার করতে ভাগে পড়েছে বৃহস্পতি আর শনি এই দুইদিন ঈদের ছুটি! চমেতকার! Covid-19 ।Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০৯

ভাল তো,লকডাউনের নামে একদিকে কিছু সরকারি দপ্তরে সারামাস ব্যাপী চলছে ছুটির আমেজ আর ঘরে বসে থেকে পাচ্ছে বেতন,ঈদ বোনাস,বৈশাখি ভাতা সব! অন্যদিকে মহামারির মধ্যেও প্রতিদিন অফিস করে, ঈদের ছুটির এডজাস্টমেন্ট হিসেবে রোজার মধ্যে প্রতিটি শুক্রবার ডিউটি করে শিল্পখাতে কর্মরত প্রতিটি শ্রমিক,কর্মচারী, কর্মকর্তার পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ শেয়ার করতে ভাগে পড়েছে বৃহস্পতি আর শনি এই দুইদিন ঈদের ছুটি! চমেতকার!

রাষ্ট্রে ব্যাপক সাম্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেখানে একটা শ্রেনীর শ্রম আর কস্টের গুড়ে আরেকটা শ্রেনি সরবত বানাইয়া খাচ্ছে!

গার্মেন্টস কর্মীদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের ভিতরে নাড়াচাড়া করে ব্যাংক কর্মীরা করোনায় ক্ষতিপূরণ ও অনুদান পাবে, ৫০ লাখ টাকা।
আর গার্মেন্টসকর্মী? কোন ঝুঁকি ভাতাও নাই?? বাহ্ কামলা তোমার জয় হোক। 

বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল সেক্টর বাদে বাকি সকল সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেশের ১৮% অর্থনীতি নিয়ে কাজ করে। আর টেক্সটাইল সেক্টর বাকি ৮২% অর্থনীতি নিয়ে কাজ করে। কোন সরকার এই সেক্টরের সাথে কখনোই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলনা।

 বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের মেলা

আজকে দেশে করোনা ভাইরাস ইস্যুতে সকল অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হলেও টেক্সটাইল বন্ধ করা হয়নি। 
সবাই ঘরে বসে কোয়ারেন্টাইন করবে আর RMG সেক্টরের প্রতিটা শ্রমিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার,  মার্চেন্ডাইজার, ডিজাইনার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার, জেনারেল ম্যানেজার, ডিপার্টমেন্ট হেড এদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অফিস করছে প্রতিদিন।
 এই সেক্টরের মানুষগুলোকে সরকারের মাথায় তুলে রাখা উচিত ছিল কিন্তু, 
এই সেক্টরের একটা মানুষও সরকারের কোন সুযোগ সুবিধা আদৌ ভোগ করেনা। উল্টো প্রতিবছর এই সেক্টরের মানুষগুলোর শিপমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে যে জিডিপি বাড়ে, সেটা দিয়ে সরকারি আমলারা নিজেদেরকে সেরা দাবি করে। 
এটা কেবল এই চেতনার দেশে সম্ভব। 😥

Still we are working for the tag of "Made in Bangladesh".

#COVID2019  
#RMG_of_BD
#Made_In_Bangladesh

স্বাধীনতার এত বছর পরেও বৈষম্য দূর হয়নি গার্মেন্টস শ্রমিকদের কোন সুবিধা দেওয়া হয় না। Covid-19 ।Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০৮

যারা সপ্তাহে ২ দিন ছুটি কাটায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিবেই,যারা সরকারি ফ্লাইট বন্ধ থাকলে চার্টাড ফ্লাইট করে বিদেশ যায় তাদের কাছে গণপরিবহন বন্ধ থাকলে কিছু আসবে যাবে না,
স্বাধীনতার এত বছর পরেও বৈষম্য দূর হয়নি 
গার্মেন্টস শ্রমিকদের কোন সুবিধা দেওয়া হয় না।
অমানুষের মত দিন রাত খাটাচ্ছেন সেই খানে কারো চোখ যায় না, ঈদের ছুটির কথা বলে হাজার ফ্যাক্টরিতে জেনারেল ফ্রাইডে তে ডিউটি করায় ফেলছেন তার কিছু যায় আসে না, রোজার মধ্যে শীপমেন্ট মিটআপ নামের আনপ্ল্যান্ড কাজ করাতে পারছেন, কিন্তু ঈদে তিন দিনের ছুটির নামে সাফাই গাচ্ছেন! 
বাংলাদেশে মাল্টিন্যাশনাল আর লোকাল ফ্যাক্টরির প্রাক্টিস দেখলে মনে হয় দেশি কোম্পানী গুলা লাভ ই করে না অথচ দেশে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী গুলা শ্রমিকের সুযোগ সুবিধা বজায় রেখে বহাল তবীয়দে লাভ তো করছেই সাথে দেশেই নতুন ফ্যাক্টরি ইউনিট চালু করছে,
বিগত অর্থ বছরে ৩৩ হাজার কোটি ডলার বা ৩৩ বিলিয়ন ডলার যখন এই খাত থেকে ফরেন রেভিনিউ আয় আসে,যা দেশের সকল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৮৬℅ প্রায়!
তখন এই খাতের মানুষ গুলাকেই শুধু করোনা আক্রমণ করেনা, এই খাতের মানুষ গুলাই শুধু স্বাস্থ্য বিধির চৌদ্দ্য গুষ্টি উদ্ধার করে! 
ফ্যাক্টরি ক্যাপাসিটির থেকে ১০ গুন বেশি অর্ডার নিয়ে শীপমেন্ট মিটাআপ আর আনপ্ল্যান্ড কাজের ছাড়াছড়ির মধ্যে শ্রমিক অসহায় হয়ে দিনকে রাত আর রাতকে দিন করে, কিছু বোনাস আর ঈদের এই কিছু ছুটির জন্য, এছাড়া RMG জীবনে শ্রমিক আর কিছুই আশা করে না!
আপনারা যারা সাফাই গাচ্ছেন 
Some times u gyz are making lame joke ur self insted of giving some positive vibe to this industry. U gyz have to admit wt ever u gyz r believing is not goes for the labour, ur word is only valid for factory owner. 
Sometimes we need to cover truth, unless we cant stand infront of mirror or our self image 🙏

Saturday, 1 May 2021

Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০৫

গার্মেন্টস কি এই দেশে থাকবে না ???? যেখানে সুতার দাম $2.70 থেকে $4.30। (কত তে গিয়ে ঠেকবে কেউ জানেনা, প্রতিদিন বাড়ছে 0.10 (সেন্ট) করে কোন মিডিয়ায় খবর দেখলাম না। কারও কোন মাথা ব্যথা নেই।
 কন্টেইনার $15/CBM থেকে $100/CBM। আসলে কি আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝতেছি না।
 যেখানে অন্য দেশ এক্সপোর্ট করতে মরিয়া, সেখানে আমরা এক্সপোর্ট করতে মনে হয় অনিহা প্রকাশ করতেছি। 
বায়ার আমাদের জোর করে ধরে যেন এক্সপোর্ট করাচ্ছে 😥😥😥 আল্লাহ আমাদের উর্ধ্বতন মানুষের বুঝার তৌফিক দান করুন। আলু পিয়াঁজের মত যদি গার্মেন্টস নিয়ে সিন্ডিকেট হয় তাহলে দেশ ও জাতির জন‍্য বড় সমস্যা।
বিদ্রঃ 
বর্তমানের পোশাক শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা পরামর্শ গুলি যার যার পজিশন থেকে সমস্যা গুলি তুলে ধরুন । 

Collected Post

নীটেড_টি_শার্টের_গার্মেন্টস_কস্টিং

Textile Engineers Society
Textile Basic এর আজকের পর্বে আমরা তুলে ধরেছি  নীটেড_টি_শার্টের_গার্মেন্টস_কস্টিং"  এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমুহ ,সঙ্গেই থাকুন। 

গার্মেন্টস কস্টিং:-

একজন মার্চেন্ডাইজারের জন্য কস্টিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।টোটাল বিজনেস কস্টিং এর উপর নির্ভর করে।তাই কস্টিংকে গার্মেন্টস বিজনেসের হার্ট বলা হয়।তাই একজন মার্চেন্ডাইজার হিসাবে গার্মেন্টস এর একচুয়াল প্রাইজ ফিক্স করা দরকার।

নীট টি-শার্ট এর কস্টিং এর পূর্বে, একজন নীট মার্চেন্ডাইজারকে নিচের বিষয়গুলো আগে নির্ধারণ করতে হবে।

১. ইয়ার্ন প্রাইজ
২. নীটিং এবং ওয়াশিং কস্ট
৩. ডাইং কস্ট
৪. প্রিন্টিং কস্ট
৫. এক্সসোরিজ কস্ট
৬. কস্ট অফ মেকিং
৭. কমার্শিয়াল কস্ট
৮. অন্যান্য কস্ট

তারপর ফেব্রিক কনজাম্পশন এবং কস্ট ক্যালকুলেট করতে হবে।সাধারণত, গে ফেব্রিক কনজাম্পন করা হয়।গে ফেব্রিক কনজাম্পশন এবং কস্টিং বের করার পর ফেব্রিক প্রসেসিং কস্ট (নীটিং + ওয়াশিং কস্ট + ডাইং কস্ট) যোগ করতে হবে।তাহলে ফেব্রিকের একচুয়াল কস্ট পাওয়া যাবে।তারপর গার্মেন্টস এর অন্যান্য কস্ট যোগ করলে গার্মেন্টস এর একচুয়াল কস্ট পাবো।

উদাহরণ:
বায়ার মেজার্মেন্টসহ প্রিন্টের টি-শার্ট পাঠালো, সেটি ১০০% কটন সিংগেল জার্সি এবং জিএসএম ১৬০.

লেন্থ = ৭০ সে.মি
১/২ চেস্ট = ৬০ সে.মি 
স্লিভ লেন্থ = ২৫ সে. মি
কোয়ান্টিটি ১০০০০০পিচ
পার পিচ গার্মেন্টসে কস্ট কত??

সমাধান:
লেন্থ = ৭০ সে.মি
১/২ চেস্ট = ৬০ সে.মি 
স্লিভ লেন্থ = ২৫ সে. মি

ধরা যাক,
ইয়ার্ন প্রাইজ পার কেজি $৩.০০
নীটিং এবং ওয়াশিং কস্ট পার কেজি $১.১০
 ডাইং কস্ট পার কেজি $১.৭০
 প্রিন্টিং কস্ট পার ডজন $৩.৮০
 এক্সসোরিজ কস্ট ডজন $১.৪০

ফেব্রিক কনজাম্পসন:
ফেব্রিক কনজাম্পন পার ডজন=[{লেন্থ + স্লিভ লেন্থ + এলাউন্স)*(১/২ চেস্ট + এলাউন্স) * ২ * জিএসএম * ১২] / ১০০০০০০০
=[{(৭০+৫)+(২৫+৫)} * (৬০+২+২) * ২ * ১৬০ * ১২] / ১০০০০০০০
=(১০৫ * ৬৪ * ২ * ১৬০ * ১২) / ১০০০০০০০
= ২.৫৮ কেজি + ৭% ওয়েস্টেজ
= ২.৫৮ + ০.১৮
= ২.৭৬ কেজি পার ডজন

নোটঃ লেন্থের জন্য এলাউন্স ৫ সে.মি, চেস্টের জন্য এলাউন্স ২ সে.মি এবং ওয়েস্টেজ ৭% ধরা হয়।
এক ডজন গার্মেন্টস এর জন্য গে ফেব্রিক প্রয়োজন ২.৭৬ কেজি

একচুয়াল ফেব্রিক কস্ট= [( ইয়ার্ন প্রাইজ + নীটিং কস্ট এবং ওয়াশিং কস্ট + ডাইং কস্ট)*২.৭৬কেজি] পার ডজন
                                     =($৩.০০+$১.১০+$১.৭০)*২.৭৬
                                     =$১৬.০০ পার ডজন

একচুয়াল ফেব্রিক কস্ট পার ডজন $১৬.০০------(A)
প্রিন্টিং কস্ট পার ডজন $৩.৮০-------(😎
 এক্সসোরিজ কস্ট ডজন $১.৪০-----(C)
কস্ট অফ মেকিং$৫.০০-----(D)
কমার্শিয়াল কস্ট$০.৫০-----(E)
অন্যান্য কস্ট$০.১০---------(F)
টোটাল গার্মেন্টস কস্ট পার ডজন=A+B+C+D+E+F
 =$১৬.০০+$৩.৮০+$১.৪০+$৫.০০+$০.৫০+$০.১০
=$২৬.৮ পার ডজন

ফ্যাক্টরির প্রফিট ১২% ধরলে,
টোটাল গার্মেন্টস কস্ট পার ডজন= $২৬.৮+১২%
                                                      =$৩০.০২

টোটাল গার্মেন্টস কস্ট পার পিচ=$৩০.০২/১২
                                                   =$২.৫০

তাহলে এক পিচ গার্মেন্টসে ফ্যাক্টরির কস্ট $২.৫০
#textileengineers
#textilecalculation 
#textilebasic