Monday, 26 April 2021

কেউ দক্ষ মানুষ তৈরী হয় না? Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০৭

কেউ অভিজ্ঞতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন নাহ, কাজ শিখতে শিখতে অভিজ্ঞ হয়!! বিভিন্ন organisation কে দেখা যায় ফ্রেশারদের খুব তাচ্ছিল্যের সাথে হেয় করতে এই অজুহাতে তাদের কোন professional work experience নেই এবং তাদের মধ্যে আরো একটা কুসংস্কার বিরাজ করে সেটা হলো আমরা টাকা দিয়ে কেন ফ্রেশারকে কাজ শিখাবো, এখন এরকম attitude যদি থাকে তাহলে কখনোই আমাদের দেশে skilled people তৈরি হবে নাহ, এবং এক্ষেত্রে ২ টা জিনিস হবে প্রথমত বাহিরের দেশের দক্ষ লোক (যেমন ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা, চাইনিজ, কোরিয়ান) আমাদের দেশের সকল প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদ দখল করে ফেলবে আর দ্বিতীয়ত দেশের মেধাবী রা নিজেদের দক্ষ করার জন্য বাহিরের দেশে চলে যাবে, যেটাকে বলা যেতে পারে মেধা পাচার !! 


আমরা সবাই জানি একটা সময় আমাদের দেশের তাতীরা মসলিন কাপড় বানাতে বেশ পটু ছিলো, কিন্তু ব্রিটিশরা তাতীদের হাতের আংগুল কেটে দেয় যাতে করে আর কোন দক্ষ তাতী না তৈরি হতে পারে মসলিন কাপড় বানানোর জন্য, আজ ২০২১ সালে এসে মনে হচ্ছে আমার সেই ব্রিটিশ আধিপত্য এর culture নিজেদের মধ্যে এখনো ধারন করে চলছি, যেটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বেশ আশংকাজনক !!


- মোহাম্মদ সাকিন শিকদার

Sunday, 25 April 2021

গার্মেন্টস কি এই দেশে থাকবে না ???? যেখানে সুতার দাম $2.70 থেকে $4.30। Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০৬

গার্মেন্টস কি এই দেশে থাকবে না ???? যেখানে সুতার দাম $2.70 থেকে $4.30। (কত তে গিয়ে ঠেকবে কেউ জানেনা, প্রতিদিন বাড়ছে 0.10 (সেন্ট) করে কোন মিডিয়ায় খবর দেখলাম না। কারও কোন মাথা ব্যথা নেই।
 কন্টেইনার $15/CBM থেকে $100/CBM। আসলে কি আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝতেছি না।
 যেখানে অন্য দেশ এক্সপোর্ট করতে মরিয়া, সেখানে আমরা এক্সপোর্ট করতে মনে হয় অনিহা প্রকাশ করতেছি। 
বায়ার আমাদের জোর করে ধরে যেন এক্সপোর্ট করাচ্ছে 😥😥😥 আল্লাহ আমাদের উর্ধ্বতন মানুষের বুঝার তৌফিক দান করুন। আলু পিয়াঁজের মত যদি গার্মেন্টস নিয়ে সিন্ডিকেট হয় তাহলে দেশ ও জাতির জন‍্য বড় সমস্যা।
বিদ্রঃ 
বর্তমানের পোশাক শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা পরামর্শ গুলি যার যার পজিশন থেকে সমস্যা গুলি তুলে ধরুন । 

Collected Post

Saturday, 24 April 2021

বাংলাদেশী Vs ফরেইন টেকনোলজিস্ট সমাচার #দেশে প্রায় 60+ হাজার বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার টেক্সটাইল সেক্টর এ জব করে।Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০৫

বাংলাদেশী Vs ফরেইন টেকনোলজিস্ট সমাচার-
|
|||
#দেশে প্রায় 60+ হাজার বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার টেক্সটাইল সেক্টর এ জব করে।

এক্সাম নাইট স্টুডেন্ট না হয়ে যদি আমরা বেসিক লাভার স্টুডেন্ট হইতাম তাহলে হয়ত এই 60 হাজার এর মাঝে 40 হাজার অন্তত দেশী হইত ।

আমাদের যে সকল দেশের টেক্সটাইল টেকনোলজিস্ট দের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় তারা হলো ভিয়েতনাম, ইন্ডিয়ান, পাকিস্থানী, শ্রীলংকান, চাইনীজ, জার্মান, ইতালীয় ।

বাইরের সাথে তুলনার আগে আমাদের কিছু কথা বলে নেই যেমন আমাদের অনেক নবাগত স্টুডেন্টদের দেখলাম এসেই চাকরি নাই, চাকরি নাই বলে অশ্রু বিসর্জন করতেছে। মেক্সিমাম স্টুডেন্ট তাদের ভাইবা বোর্ডে নিয়োগ দাতাদের বিনোদন এর খোরাক যোগাচ্ছে । তাদের সাথে যদি নন টেকনিকাল স্টুডেন্ট দের ভাইবা নেয়া হয় তবে উভয়ের মাঝে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না । এদের মধ্যে প্রব্লেম এনালাইজ এবং রেক্টিফিকেশন , সলিউশন, রিসার্স, ডেভলমেন্ট, ম্যানেজমেন্ট তেমন কোন গুনই খুজেই পাওয়া যায় না। চাকরি আর স্যালারি নিয়ে গবেষনা আর এক্সাম নাইট স্টুডেন্ট হওয়া থেকে বিরত থাকলে এইরুপ অশ্রু বিসর্জন এর প্রয়োজন নাই ।

তার উপর ইদানীং যুক্ত হয়েছে আমাদের ফরেইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনোলজিস্ট, এক্সপার্ট । এরা আমাদের যথেষ্ট মাথা ব্যাথার কারন, আমাদের আকালের বাজারে তাদের সাথে আমাদের জব মার্কেট শেয়ার করতে হচ্ছে । অনেকের মনে প্রশ্ন আমাদের এতো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার থাকতে তারা কেনো ???? তাদের কোয়ালিটি কি যার জন্য আমাদের যায়গা গুলি তাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে
আমাদের ইঞ্জিনিয়ার আর ফরেইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের মুল পার্থক্য #ক্যারিকুলামে, #কারিকুলামে এবং #কারিকুলামে  :
|
১. ফরেইনাররা যখন অত্যাধুনিক ল্যাবে কাজ করে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রা কনভেনশনাল ল্যাবে কাজ করে বা অনেকেই ল্যাব চোখেই দেখে না।

২. ফরেইনাররা যখন NMR SEM এর ফাইবার এর সারফেস আর ফাংশনাল গ্রুপ নিয়ে ব্যাস্ত তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা ফাইবার কি এবং কতো প্রকার তা মুখস্থ করা নিয়ে ব্যাস্ত ।

৩. ফরেইনাররা যখন ওয়াটার ফ্রি ডাইং, সল্ট ফ্রি ডাইং, সুপার ক্রিটিকাল ফ্লুয়িড ডাইং তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা রিয়েক্টিভ ডাইং কি, কতো প্রকার, রেসিপি নিয়ে ব্যাস্ত ।

৪. ফরেইনাররা যখন ক্যামিকেল এর মেথোড, ম্যাকানিজম, ফাংশনাল প্রপার্টি নিয়ে কাজ করে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা কাস্টিক এর কাজ, সোডার কাজ পড়া নিয়ে ব্যাস্ত ।

৫. ফরেইনাররা যখন প্রজেক্ট রিসার্স, রিসার্স মেথোডোলজি নিয়ে কাজ করে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা এসাইনমেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট কপি করা নিয়ে ব্যাস্ত ।

৬. ফরেইনাররা যখন কোয়ালিটি ডেভলপ করা নিয়ে ব্যাস্ত তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা গোজমিল নিয়ে ব্যাস্ত যা ইঞ্জিনিয়ার সুলভ কোন কাজ না ।

৭. ফরেইনাররা যখন ম্যান, মেশিন, ম্যাটেরিয়াল এর পুর্ন ধারনা নিয়ে ফেক্টরীতে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা ফেক্টরীতে গিয়ে মেশিন ম্যাটেরিয়াল শেখা শুরু করে ।

৮. ফরেইনাররা যখন ফেক্টরিতে গিয়ে অন্য দের কাজ শেখায় অন্যদের তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা ফেক্টরিতে গিয়ে ট্রেইনি হয়ে কাজ শেখে ।

৯. ফরেইনারা যখন নিজ কে সেল্ফ ডেভলপ করে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির জন্য তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গন সেল্ফ ডেভলপমেন্ট এর চিন্তা বাদ দিয়ে বড় ভাই, রিলেটিভ, ফেকাল্টি রেফারেন্স নিয়ে ব্যাস্ত ।

১০. ফরেইনাররা ফেক্টরিতে গিয়ে তাদের ম্যানেজার টু অফিসার যখন স্টাডি করে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা ভাবেন এতো পড়ে কি হবে !! এতো সময় কই স্টাডি করার !!!

১১. ফরেইন ( ভারতীয়, পাকিস্থানী ) GM এর দের টেবিলে যখন পুরাতন আমলে টেক্সটাইল বই পাবেন সেখানে ফেক্টরিতে গিয়ে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের টেবিল দিব্যি ফাকা দেখবেন ।

১২. ফরেইনাদের কাছে ফেক্টরিতে গিয়ে কাজের আইডিয়া দেবেন তখন তাদের এক্সপ্রেশন হবে Well done, good job, we can work togather, can i use it, ok Mr Develop it সেখানে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ফেক্টরিতে আইডিয়া দিলে এরা বলবে কতো দেখলাম, কতো আইলো গেলো, এই গুলা কইরা কোন লাভ নাই, পাকনামি করে ।

১৩. ফরেইনাররা যখন ফেক্টরিতে গিয়ে টিম ওয়ার্ক নিয়ে কাজ করে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা ফেক্টরিতে গিয়ে পলিটিক্স নিয়ে ব্যাস্ত ।

১৪. ফরেইনাররা যখন কাজ দিয়ে সকাল শুরু নিয়ে কাজ দিয়ে শেষ করে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা গল্প গুজবে সকাল শুরু হয় শেষ হয় গল্প গুজবে ।

১৫. ফরেইনাররা নন টেক্সটাইল সসাব্জেক্টে খুব জোর দেয় যার ফলে তাদের ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, মার্চেন্ডাজিং, ফিনেন্স, মেইন্টেইনেন্স এ টেক্সটাইল এর মতো সমান দক্ষতা অর্জন করেন তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা মনে করেন ফেক্টরিতে নন টেক্সটাইল সাব্জেক্ট গুলির এপ্লিকেশন ফ্লোরে, অফিসে নেই এই গুলি ক্রেডিট বাড়ানোর জন্য যার ফলে তারা ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, মার্চেন্ডাজিং, ফিনেন্স, মেইন্টেইনেন্স এই বিষয় গুলিতে দুর্বল ।

১৬. ফরেইন ফেকাল্টি রা যখন তাদের হাতে স্টুডেন্টসদের MSc, Phd, Reasarchar বনানোর কাজে ব্যাস্ত সেখানে আমাদের ফেকাল্টিরা দায়া সারা সিট, ক্লাস লেকচার এর টার্গেট পুরন, গেস্ট ফেকাল্টি হবার ধান্দায় ব্যাস্ত এদের হাতে ভালো ইঞ্জিনিয়ার কি ভাবে বের হবে ।

১৭. ফরেইন টেক্সটাইল এর ক্যারিকুলাম যুগের সাথে পরবর্তিত হয় আর আমাদের যুগের সাথে হয় না। ইন্টারন্যাশনাল বাজারে কম্পিটিশন করার মতো কোয়ালিটি অর্জনের জন্য আমাদের কারিকুলাম আপডেট জরুরী ।

১৮. ফরেইন টেক্সটাইল ফেকাল্টি গুল ফেক্টরি গুলির কেইস স্টাডি করেন এবং সলিউশন করেন আর আমাদের ফেকাল্টি গন ৯০% ই জানেন না ফেক্টরির প্রসেস, ম্যাকানিজম।

১৯. ফরেইনাররা যখন ল্যাবে ফেক্টরি সমস্যা সমাধান করে, প্রসেস ডেভলপ করছে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা মেশিন পার্টস, গিয়ারিং ডায়াগ্রাম আকা নিয়ে ব্যাস্ত ।

২০. ফরেইনারদের যখন প্রতিটা প্রজেক্ট, রিসার্চ জার্নাল আকারে প্রকাশ হচ্ছে তখন তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা আগের সেমিস্টারের বড়ো ভাইদের প্রজেক্ট দিয়ে দিব্যি কাজ চালিয়ে দিচ্ছেন, আর রিসার্চ ওয়ার্ক তো সারাজীবন এর তপস্যার পর একটা বের করা সম্ভব হয় , তাও আবার রিভিউ খায় ।

২১. ফরেইনার দের কাছে ইন্টার্ন যখন কমান্ডো ট্রেইনিং তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে ইন্টার্ন ঘোরাঘুরি, পিকনিক, সেলফি তোলার উপলক্ষ ।

২২. ফরেইনার দের কাছে প্রেজেন্টেশন মানে ১০০-২০০ স্টুডেন্ট এর সামনে কনফারেন্স তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে প্রেজেন্টেশন মানে কাপা গলায় ৪-৫ মিনিট রোবোট এর মতো ১০-১৫ জনের সামনে বকে আসা আর রুম থেকে বেরিয়ে সেলফি তোলার উপলক্ষ প্রস্তুত করা ।

২৩. ফরেইনারদের কাছে এসাইনমেন্ট মানে নিজের হাতে সব লিখা তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে এসাইনমেন্ট এর যে করছে সে নিজেই জানে না টপিক কি আর বর্ননা তে কি লিখেছে সে ।

এখন প্রশ্ন ????
আমরা কি পারবো তাদের জায়গা গুলি দখল করে নিতে !!!
ধরে নিলাম আমরা চাকুরী তে গিয়ে শিখবো। আমাদের শিখতে শিখতে ততো দিনে তারা কই থাকবে !!!
যাই হোক, বেসিক আর কোয়ালিটি অর্জনের পিছনে দৌড়াইলে চাকরি পিছন পিছন দৌড়াবে । ভাইবা বোর্ডে আমরা আপনাকে কথা শুনতে হবে না !! আমাদের কোয়ালিটি নিয়েনিয়ে প্রশ্ন উঠবে না । আমাদের কারো প্রতি জেলাস হতে হবে না। কারো প্রতি প্রতি হিংসা বা পজিশন হারানোর ভয়ে নয় নিজ যোগ্যাতা দিয়ে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে।
রেফারেন্সে এর মুল্য আছে তার পরো দিন শেষে মেধার, যোগ্যতার,পরিশ্রম এর মুল্য আছে ।
|
#সংগৃহীত_টেক্সটাইলল্যাব_ব্লগ

বাংলাদেশে প্রথম যখন চীনা কোম্পানিগুলো ব্যাপক আকারে কাজ পেতে শুরু করে; তখন দেশীয় ফ্রেশার ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ছিল লাখের উপরে।Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০৪

বাংলাদেশে প্রথম যখন চীনা কোম্পানিগুলো ব্যাপক আকারে কাজ পেতে শুরু করে; তখন দেশীয় ফ্রেশার ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ছিল লাখের উপরে। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন ম্যানেজমেন্ট লেভেলে বাঙ্গালী নেয়া শুরু হল; তখন বেতন কমতে কমতে এখন ৮-১০হাজারে এসে ঠেকেছে।

১) ম্যানেজমেন্টের কিছু লোক তাদেরকে বুঝিয়েছে- ৮/১০হাজারে এই দেশে ইঞ্জিনিয়ার পাওয়া যায়।

২) ম্যানেজমেন্টের আরেকটি অংশ চাইনিজদের থেকে বেতন বাবদ ৫০হাজার টাকা নিলেও, অধীনস্থদের ৮/১০হাজার টাকা বেতন দিয়ে; বাকিটা নিজের পকেটে ঢুকায়।

৩) কিছু কিছু সাব-কন্ট্রাক্টর এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা চাইনিজদের অগোচরে কোটি কোটি টাকা সরিয়ে নেয়।

ফলে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা ক্ষতিগ্রস্ত হল। 
দেশ ও ক্ষতিগ্রস্ত হল।
দুর্নীতি এভাবেই বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানীর ম্যানেজমেন্ট ও মানবসম্পদ বিভাগের লোকজন মানবসম্পদ উন্নয়নের চেয়ে, বরং বাঁশ দেয়ার কাজে ওস্তাদ। কোম্পানির লাভ ও সমৃদ্ধির জন্য ইনোভেটিভ আইডিয়ার পরিবর্তে; এরা অন্যের বেতন-ভাতা ও সুযোগসুবিধা কমিয়ে দিয়ে নিজের অযোগ্যতা ঢাকার চেষ্টা করে। মালিকপক্ষকে তেল দিয়ে, অন্যকে বাঁশ দিয়ে, অন্যের বেতন কমিয়ে; এরা মালিকপক্ষের চোখে প্রিয় হতে চায়।

লেখার কার্টেসিঃ আবির আহমেদ খান

গার্মেন্টস কর্মীদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের ভিতরে নাড়াচাড়া করে ব্যাংক কর্মীরা করোনায় ক্ষতিপূরণ ও অনুদান পাবে, ৫০ লাখ টাকা।আর গার্মেন্টসকর্মী? Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০৩

গার্মেন্টস কর্মীদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের ভিতরে নাড়াচাড়া করে ব্যাংক কর্মীরা করোনায় ক্ষতিপূরণ ও অনুদান পাবে, ৫০ লাখ টাকা।
আর গার্মেন্টসকর্মী?

বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল সেক্টর বাদে বাকি সকল সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেশের ১৮% অর্থনীতি নিয়ে কাজ করে। আর টেক্সটাইল সেক্টর বাকি ৮২% অর্থনীতি নিয়ে কাজ করে। কোন সরকার এই সেক্টরের সাথে কখনোই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলনা।
 বরং, প্রতি বছর BKMEA আর BGMEA এর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে।
 আর জিডিপি এর হিসাব করে (Our govt. is best govt) দাবি করা হয়। 
আজকে দেশে করোনা ভাইরাস ইস্যুতে সকল অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হলেও টেক্সটাইল বন্ধ করা হয়নি। 
সবাই ঘরে বসে কোয়ারেন্টাইন করবে আর RMG সেক্টরের প্রতিটা শ্রমিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার, মার্চেন্ডাইজার, ডিজাইনার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার, জেনারেল ম্যানেজার, ডিপার্টমেন্ট হেড এদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অফিস করছে প্রতিদিন।
 এই সেক্টরের মানুষগুলোকে সরকারের মাথায় তুলে রাখা উচিত ছিল কিন্তু, 
এই সেক্টরের একটা মানুষও সরকারের কোন সুযোগ সুবিধা আদৌ ভোগ করেনা। উল্টো প্রতিবছর এই সেক্টরের মানুষগুলোর শিপমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে যে জিডিপি বাড়ে, সেটা দিয়ে সরকারি আমলারা নিজেদেরকে সেরা দাবি করে। 
এটা কেবল এই চেতনার দেশে সম্ভব। 😥

Still we are working for the tag of "Made in Bangladesh".

#COVID2019  
#RMG_of_BD
#Made_In_Bangladesh

#সংগৃহীত

প্রাইভেট সেক্টরে, বিশেষত RMG সেক্টরে,ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছানো প্রোফেশনালরা সম্ভবত জব সিকিউরিটির আসপেক্টে মোস্ট ভালনারেবল গ্রূপ। Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০২

প্রাইভেট সেক্টরে, বিশেষত RMG সেক্টরে,

ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছানো প্রোফেশনালরা সম্ভবত জব সিকিউরিটির আসপেক্টে মোস্ট ভালনারেবল গ্রূপ। 

আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব ভাবিত, যে, সিনিয়র মোস্ট প্রোফেশনাল যারা, তাদের ভবিষ্যত কী? 

জগতের সব দেশে, প্রোফেশনালরা যত সিনিয়র হন, তাদের মার্কেট প্রাইস, ভ্যালু প্রোপোজিশন, ডিমান্ড, রিকগনিশন, ইউটিলাইজিশন তত বাড়ে। তাদের আরও ভ্যালু এ্যাডেড কাজে ইউটিলাইজ করা হয়, 

আরও অর্থবহ কাজে তাদের সংযুক্ত করার উদ্যোগ রাষ্ট্র ও ইন্ডাস্ট্রি নিজের গরজেই তৈরী করে। তারাও কনট্রিবিউট করেন। 

এই দেশে মোটামুটি জিএম লেভেলে পৌছানো গেলেই শুরু করতে হচ্ছে ইয়া নফসি ইয়া নফসি। 

তার পরে কী-কেউ জানে না। ক্যারিয়ার হয়ে যায় আরও বিপদসঙ্কূল, আরও ত্রিশঙ্কূ। 

সিনিয়র প্রোফেশনালদের ইউটিলাইজ করা তো দূরে, তারা তখন থাকেন দৌড়ে। প্রোফেশনের সবথেকে রিচ অবস্থায় পৌছানোর পরে তাদের আরও কাজে লাগানো তো দূরে, দুটি ডালভাতের ব্যবস্থা কী করে হবে-সেই চিন্তাই তখন তাদের জন্য মুখ্য হয়ে দাড়ায়। 
শেষ বয়সে তাই অত্যন্ত একপিরিয়েন্সড, রিচ প্রোফেশনালকে নতুন করে সেই ফ্রেশার বয়সের মতো খুঁজতে হয় জীবিকার নতুন পথ। আগুনের বোতল বিক্রীর মুদী ব্যবসা, নয় তো আলু পটলের আড়তদার, বাসা ভাড়া দিয়ে বাড়িওলা বনে যাওয়া, কখনও বা স্কুল মাস্টার। 

আপনারা কি কেউ একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন, যে, এই খাতের প্রথম বা দ্বিতীয় প্রজন্মের সিনিয়র মোস্ট প্রোফেশনালরা ঠিক কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে কনট্রিবিউট করার বদলে উল্টো ঝরে গেছেন বা যাচ্ছেন? হারিয়ে যাচ্ছেন? 

কতজন সিনিয়রকে আমরা দেখেছি, ৫০+ বয়সের পরে একই সেকটরে আরো ভ্যালু এ্যাডেড কাজে কনট্রিবিউট করার সুযোগ পেতে? 

আমি তো দেখতে পাচ্ছি, সিনিয়র মোস্ট পারসনরা তাদের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের যাবতীয় মূল্যবান অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, রিচ নলেজ নিয়ে অবহেলিত, অনাদৃত অবস্থায় নিজেকে প্রতিনিয়ত বিক্রী করে নিজেকে ও পরিবারকে প্রোভাইড করার দূরহ যাত্রায় নামছেন। 
সেই ফ্রেশার বয়সের মতোই। বাধ্য হচ্ছেন সেটা করতে। 

কনসালট্যান্সী বা এ্যাডভাইজরী সার্ভিস বিক্রীর কথা অনেকে বলবেন। ভাই রে, দক্ষ প্রোফেশনাল হলেও দক্ষ ব্যবসায়ী তো সবাই হবেন না। একের ভেতর পাঁচ তো সবাই হবে না। 
 
আমার জিজ্ঞাসা। আমি চিন্তিত।

© md walidur rahman biddut

টেক্সটাইল সেক্টর বহু বছর ধরে আমাদের মোট রফতানি আয়ের 80% এরও বেশি অবদান রাখছে l প্রায় 4-5 মিলিয়ন লোক সরাসরি এই খাতের সাথে জড়িত। Made in Bangladesh - RMG আত্মকথন ০১

টেক্সটাইল সেক্টর বহু বছর ধরে আমাদের মোট রফতানি আয়ের 80% এরও বেশি অবদান রাখছে l প্রায় 4-5 মিলিয়ন লোক সরাসরি এই খাতের সাথে জড়িত the শেষ লকডাউন চলাকালীন সবকিছুই এই খাত বাদে বন্ধ ছিল T এই সময় পরিস্থিতিও একই।
এই পরিমাণ ঝুঁকি গ্রহণ করে আসলে আমাদের হচ্ছে

শেষ লক ডাউন সময়কালে বেতন -60%।

বিশেষত কর্মীদের জন্য কোন বার্ষিক বৃদ্ধি।

- টিকা বিতরণ তালিকার জন্য আমাদের জন্য কোনও অগ্রাধিকার তালিকা নেই। পিপিই, মাস্ক আমরাই বানায়া দিলাম। 
-এ ব্যাঙ্কার পরিবার কোভিডের কারণে মারা গেলে 35-50 লক্ষ টাকা পাবে এবং আমরা কোভিড দ্বারা প্রভাবিত হলে আমরা প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারি না এটি নির্দিষ্ট সংস্থার সুনামের উপর প্রভাব ফেলবে কিনা।
সহায়তা এই লোকদের কাছে এক ধরনের স্বপ্ন।

আমি এই লোকদের অন্তত তাদের মানসিক শান্তি দেওয়ার জন্য ফ্রন্টলাইনার হিসাবে ট্যাগ করার জন্য একটিও সংবাদ দেখিনি।

আমাদের এই খাতটির পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে আমাদের এখন থেকে এই বিষয়গুলি উত্থাপন করা উচিত আমাদের অধিকার পাওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।

এই টেক্সটাইল সেক্টরের সদস্য হওয়ার জন্য গর্বিত!
আশা করি একদিন আমরা এই সমাজে আমাদের যথাযথ সম্মান / অধিকার পাব।

© Sazzad Hossain CEO at MBS Fashion