কিন্তু, এই শিল্পের জোয়াল যাদের কাঁধে তাদের দিকে সত্যিকারের নজর কারো নেই।
কয়েক দফা বেতন বাড়িয়ে সরকার ভাবছে দায়িত্ব শেষ।
গত অর্থ বছরে যদি লাভ হয়ে থাকে ১০ কোটি টাকা আর চলতি অর্থ বছরে যদি লাভ হয় ৮ কোটি টাকা তখন গার্মেন্টসের মালিকরা মীটিং এ বলেঃ আহ! এই বছর ২ কোটি টাকা লস হয়েছে।
এই হল অবস্থা।
অথচ, মিস ম্যানেজমেন্ট বা মিস প্ল্যানিং এবং কম লিড টাইম এর কারণে, অতিরিক্ত ওভার টাইম করে করে একজন গার্মেন্টসের শ্রমিক দিনে দিনে শারীরিক এবং মানুষিক ভাবে কিভাবে যে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে তা দেখার মত কোন লোক বা সংগঠন আদৌ কি আছে?
সকালে ৭-৭.৩০ টায় ডিউটি শুরু হয়। তাই ঘর থেকে বের হতে হয় ৬-৬.৩০ টায়। নাস্তা অনেক সময় করা হয়না। একেবারে লাঞ্চ।
আর ছুটি হয় রাতের ১০-১১.০০ টায়। আবার যাওয়ার সময় পঁচা মাছ, পঁচা তরকারীগুলো কিনে নিয়ে যায়, কারণ এতো রাত্রে ফ্রেশ বাজার পাবে কই?
এদিকে রাতের বেলা রাস্তা ঘাটে নাই কোন নিরাপত্তা। যেকোনো সময় নারী শ্রমিকদের আছে ধর্ষণের ভয়। যাই হোক, কোন রকমে বাসায় পৌছালেও রান্না করে খেয়ে ঘুমাতে যেতে যেতে রাত ১-২.০০ টা।
আবার সকালে ৫-৫.৩০ টায় উঠে রেডি হতে হয় কাজে যাওয়ার জন্য। এদিকে শুক্রবারেও বন্ধ থাকেনা।
এখন বলেন, এভাবে যদি কেউ কাজ করতে থাকে, তবে কিভাবে নিজেরা শান্তিতে থাকবে আর পরিবারের অন্যদেরকে সময় দিবে।
একটা দুর্বল জাতি তৈরি হচ্ছে সবার চোখের সামনে। কিন্তু, কেউ নাই কথা বলার মত।
Writer :
Syed Rijoan Islam (Munna)🇧🇩
No comments:
Post a Comment